বরিশাল নগরীর রূপাতলীর বেসরকারি জমজম নার্সিং ইনস্টিটিউটের খ-কালীন শিক্ষক মিজানুর রহমান সজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ছাত্রীদের নানাভাবে যৌন হয়রানি করছিলেন। এরপর শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে কান ধরে উঠবসসহ তওবা করিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত ২৫ আগস্ট নগরীর গোরস্থান রোডে।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। তাতে কান ধরা অবস্থায় শিক্ষক সজলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি কোনো মেয়ের দিকে কু-নজরে তাকাব না, কোনো মেয়েকে থ্রেট দেব না, কোনো মেয়ে ফেল করলে তার দায়-দায়িত্ব আমার। যৌনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোনো মেয়েকে এ ধরনের থ্রেট দেব না। ইনজয়ের কথা বলে কোনো মেয়েকে কুয়াকাটা যেতে বলব না। কোনো মেয়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলেও এক্সট্রা নম্বর দেব না। আমি আজ থেকে ভালো হয়ে গেলাম। আল্লাহর কসম খাইলাম।’ ইনস্টিটিউটের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন। বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়া এবং ভালো ফলাফলের প্রলোভন দেখাতেন। এমনকি অকৃতকার্য হলেও তাদের পাশ করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতেন। দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করায় মেডিসিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এর জের ধরেই ওই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, শিক্ষক সজল ওই ইনস্টিটিউট থেকে ২ বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু করোনাকালের শুরুর দিকে ওই ইনস্টিটিউটের মেডিসিন বিভাগে অনলাইনে কয়েকটি ক্লাশ নিয়েছেন। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আয়লা গ্রামের বাসিন্দা। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে এক শিক্ষককে কান ধরিয়ে উঠবস করানোর ছবি দেখে তিনি স্ব-প্রণোদিত হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে এ বিষয়ে লিখিত দিতে বলেছেন।
.jpg?v=1713571953)
