শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
ইউএনওর ওপর হামলা

রবিউল ফের তিন দিনের রিমান্ডে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার মামলায় মালি রবিউল ইসলামকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। সাময়িক বরখাস্ত মালি রবিউলকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় অধিকতর জিজ্ঞাবাদের জন্য আদালতে পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল দুপুরে আসামি রবিউলকে বিচারকের খাসকামরায় নেওয়া হয়।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে রিমান্ডে নেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, রবিউলকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এ সময় গতকাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার জন্য রবিউলকে বিচারকের খাসকামরায় নেওয়া হয়েছিল কি না- এমন প্রশ্ন তদন্ত কর্মকর্তা সরাসরি নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার মামলায় আটক রবিউল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে নিজের দায় স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছি।’ এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তির সহায়তায় রবিউলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।

 এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দীন বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি ঘোড়াঘাট থানা থেকে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফরকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে দিনাজপুর ডিবি পুলিশ। এরা হলেন ঘোড়াঘাটের বহিষ্কৃত যুবলীগ সদস্য আসাদুল হক, রংমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম, সান্টু কুমার দাস, ইউএনওর বাসভবনের নৈশপ্রহরী নাদিম হোসেন পলাশ এবং ইউএনও অফিসের সাময়িক বরখাস্তকৃত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (মালি) রবিউল ইসলাম। এদের মধ্যে আসাদুল ইসলাম, নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। নতুন কোনো আবেদন না থাকায় আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলার আরেক আসামি নাদিম হোসেন পলাশকে রিমান্ডে না নিয়েই আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর