নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার একদিনের ব্যবধানে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, যা শেষ ১৩ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৪৪ জন। এই সময়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৬ জনের। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯১ জনের। নতুন শনাক্ত রোগী নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩৯ জনে। গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ২ হাজার ১৭৯ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে দেখা গেছে, গতকালের চেয়ে বেশি শনাক্তের হার ছিল গত ৭ সেপ্টেম্বর। ওইদিন ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এর পর শনাক্তের হার আরও কমে এতদিন ১২ শতাংশের আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল। গতকাল হঠাৎ সেটা বেড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এদিকে করোনা মহামারীর ৩৭তম সপ্তাহের (৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর) তুলনায় ৩৮তম সপ্তাহে (১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর) এসে নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত ও সুস্থতা কমেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, শনাক্ত কমেছে ৯ দশমিক ২২ শতাংশ এবং সুস্থতা কমেছে ২১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। অবশ্য কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ৩৭তম সপ্তাহে মারা গেছেন ২৫৫ জন, ৩৮তম সপ্তাহে মারা গেছেন ২১১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৪ জন আর বাড়িতে ২ জন। বয়স বিবেচনায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ছিলেন ১৭ জন।এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিলেন ১ জন। তাদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা, ৪ জন চট্টগ্রাম এবং ১ জন করে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।