সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

স্পেনের ৩৭ অঞ্চলে আজ থেকে ফের লকডাউন

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় আজ থেকে স্পেনের মাদ্রিদসহ ৩৭ অঞ্চলে আংশিক লকডাউন শুরু হচ্ছে। এছাড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালিসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে। এসব দেশগুলো আবারও কড়াকড়ি আরোপের বিষয় নিয়ে ভাবছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন।

এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারের জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ লাখ ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষ। সংক্রমিতের সংখ্যা হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখের বেশি। গত শুক্রবার একদিনে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। দেশটিতে এদিন মারা যান ১ হাজার ১৪৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হন ৯২ হাজার ৭৫৫ জন। এর পরের অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এদিন সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৫৩৩ এবং মৃত্যু ছিল ৬৫৭ জন। ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৯১৩ জন এবং মৃত্যু ছিল ৭০৮ জন। ফ্রান্সে এদিন সংক্রমিত ছিল ১৩ হাজার ৪৯৮ জন এবং মৃত্যু ছিল ২৬ জন। তুরস্কে  সংক্রমিত ছিল ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং মৃত্যু ছিল ৬৮ জন। ইতালিতে সংক্রমিত ছিল ১ হাজার ৬৩৮ জন এবং মৃত্যু ছিল ২৪ জন। ব্রিটেনে সংক্রমিত ছিল ৪ হাজার ৪২২ জন এবং মৃত্যু ছিল ২৭ জন। গতকাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফের জানিয়ে দিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় করোনা ঝড় আসছেই। একে এড়ানো অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে লকডাউন  ঘোষণার কথা ভাবা হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফ  থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমণের ঘটনা দ্বিগুণ হয়ে  দৈনিক ৬ হাজারে ঠেকেছে। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ইংল্যান্ড এবং লন্ডন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আজ থেকে নতুন করে ‘গৃহবন্দী’ হবেন মাদ্রিদের সাড়ে ৮ লাখ বাসিন্দা। ফ্রান্সের পরিস্থিতিও সঙ্গীন। ভয়ে রয়েছে ইতালিও। এরই মধ্যে ইনডোর রেস্তরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন। অপ্রয়োজনীয় সফরেও নিষেধ করা হচ্ছে। ডেনমার্কে বার-রেস্তরাঁ খোলা হচ্ছে অল্প সময়ের জন্য। ৫০ জনের বেশি প্রবেশ নিষেধ। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম, রটারডামসহ একাধিক শহরে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বারবারই সতর্ক করে চলেছে, যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকা প্রয়োজন। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার উপরেও জোর দিচ্ছে তারা। প্রবীণদের নিয়ে বেশি চিন্তিত হু। কিন্তু লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে গতকালও উত্তাল ছিল লন্ডন। এ ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে জার্মানিতেও।

সর্বশেষ খবর