সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ

বর্তমান সময়ে মাছ চাষ করতে পুকুর, খাল-বিল বা নালার প্রয়োজন নেই। স্বল্প জায়গায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাড়ির আঙ্গিনায় শুরু হয়েছে মাছ চাষ। নতুন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের কলেজপাড়ার যুবক উজ্জ্বল মিয়া। নির্দিষ্ট কলাকৌশল আর প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে চৌবাচ্চায় মাছ চাষ করে সফল হতে চান তিনি।

ইতিমধ্যে তার হাত ধরে নতুন পদ্ধতিতে মাছ চাষে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। কম শ্রমে স্বল্প জায়গায় মাছ  চাষের ফলে তিনি অধিক লাভের আশা করছেন। তার মাছ চাষের সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে উৎসাহিত হচ্ছেন। উজ্জ্বল মিয়া জানান, দারিদ্র্যের কারণে পড়ালেখা বেশি করতে পারেননি। পরিবারে অভাব অনটন থাকায় প্রায় আট বছর আগে চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টে চাকরিতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর কাজ করে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসেন। এরপর কিছুদিন অলস সময় পর করেন। এক পর্যায় ইউটিউব চ্যানেলে মাছ চাষের ভিডিও দেখে তার মনে আগ্রহ জন্মায়। বায়োফ্লক পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তিনি রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে দুই মাস আগে নিজ বাড়ি সংলগ্ন একটি জায়গায় ১৫ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গোল আকৃতির একটি চৌবাচ্চা তৈরী করেন। এতে তার ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এরপর সেখানে দেশীয় প্রজাতির শিং, কৈ মাছের ১৭ কেজি পোনা দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। মাছের পোনা ও খাবার কেনায় তার খরচ হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আগামী মাসে স্থানীয় বাজারে মাছগুলো দেড় লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন উজ্জ্বল মিয়া। আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম বলেন, বায়োফ্লক পদ্ধতির মাছ চাষে দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগ্রহীদের সব ধরনের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর