কুমিল্লায় তিশা প্লাস পরিবহনের একটি বাসের ভিতর এক তরুণীকে (২০) গণধর্ষণের ঘটনার আট দিনেও গ্রেফতার হয়নি অন্যতম আসামি বাসের সুপারভাইজার আলম। তবে এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অপর দুই আসামি বাসচালক আরিফ হোসেন সোহেল ও হেলপার বাবু শেখকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। গতকাল শুনানি শেষে আদালত ওই আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার আদালতে গ্রেফতারকৃত ওই দুজনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
ওই তরুণীর মা জানান, দুই দিন চিকিৎসার পর তাকে বাড়ি নিয়ে এসেছি। তবে এখনো সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। সে ভয়ে ভয়ে দিন পার করছে। ঘটনার আট দিন পার হলেও ধর্ষক আলম এখনো ধরা পড়েনি। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। সব নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অপর আসামি আলমকে গ্রেফতার করতে বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এদিকে আদালত গ্রেফতার দুজনকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছে। উল্লেখ্য, ওই তরুণী গাজীপুরের একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন। করোনার কারণে পাঁচ মাস আগে তিনি বাড়ি চলে আসেন। ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চাকরির সন্ধানে বাড়ি থেকে ঢাকার আবদুল্লাহপুরে গিয়ে জেঠাতো বোনের বাসায় ওঠেন। বাড়ি ফেরার পথে ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে তিশা প্লাস পরিবহনের একটি বাসের ভিতরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। তার বাড়ি জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন।
