মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার সময়ে অর্থনীতি সচল রাখতে সরকারের কাছে গাইড লাইন চেয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ- ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ। দেশের প্রাচীন এই বাণিজ্য সংগঠনের নেতা মনে করেন, ‘এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, আমরা প্রথম ধাক্কা সামলে ফেলেছি। করোনা তো এখনো আছে। ফলে প্রথম ঢেউই তো শেষ হয়নি। পর্যাপ্ত টেস্টও তো হচ্ছে না। ফলে সরকারকে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে আসল পরিস্থিতি কী। মনে রাখতে হবে- হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ করা যায় না।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ। তিনি আরও বলেছেন, আমরা তিন মাস আগ থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছি। কিন্তু এখন প্রস্তুতি নেওয়ার সেই উদ্যোগ দেখছি না। তৈরি হয়নি কোনো প্রটোকল বা ব্যবস্থাপনা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রস্তুতি নেই। সরকার বলছে, অর্থনীতি সচল রেখেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে। কিন্তু খাত ভিত্তিক প্রটোকল বা ব্যবস্থাপনা কী হবে। কোন প্রক্রিয়ায় এবং কীভাবে অর্থনীতি সচল রাখা হবে। এগুলো তো আমরা ব্যবসায়ী পর্যায়ে জানতে পারছি না। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ থাকার পরও টেস্টিং কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে বুঝব যে, সংক্রমণ কমেছে নাকি বেড়েছে? সব মিলিয়ে এখন যে পরিস্থিতিতে আছি, তাতে তো বুঝতে পারছি না আমরা কোন পর্যায়ে আছি। আমাদের সামনে কোনো তথ্যও নেই। আবার করোনা টেস্টের ফি বাড়ানোর কারণে অনেক পরিবার বিপাকে পড়েছেন। কারণ পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে, অন্যদেরও পরীক্ষা করতে হয়। ফি না কমালে মানুষ করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।