বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ মানুষের সেবায় নিয়োজিত

-অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহিন

আওয়ামী লীগ মানুষের সেবায় নিয়োজিত

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহিন বলেছেন, করোনার শুরু থেকেই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে মেহেরপুর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় আর্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, বিপর্যয় যতই আসুক, সে বিপর্যয়ের মুখে একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না। এরই আলোকে মেহেরপুর থেকে যাকে নির্বাচিত করেছি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তার নেতৃত্বে ব্যতিক্রমধর্মী কাজ করেছেন মেহেরপুর। তিনি একদিকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন, অপরদিকে যারা তাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের দেখভাল করার জন্য প্রতিনিয়ত দলীয় কর্মীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি মেহেরপুরের জেলাপ্রশান, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে গেছেন। ইব্রাহীম শাহিন বলেন, ‘মাঠপর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সমন্বয়ে দুস্থ-অসহায়দের সঠিক তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সেই তালিকা অনুযায়ী খাবার পৌঁছে দিয়েছে। আমরা ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছি। ৫০ হাজার পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। আমাদের ভুল ধরার জন্য একটি বিরোধী পক্ষ আছে। তারাও বলতে পারেনি এই করোনাকালে ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে, কোনো ব্যত্যয় হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে সমন্বিতভাবে কাজ করার ফলে। আওয়ামী লীগ ও আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা করোনাকালে মাঠে থেকেছেন। মানুষকে সচেতন করেছেন। আমরা লক্ষাধিক মাস্ক বিতরণ করেছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছি। অসুস্থদের সঠিক চিকিৎসার আওতায় এনেছি। মেহেরপুরের স্বাস্থ্য বিভাগকে করোনাকালীন চিকিৎসার একটি রোল মডেল বলতে পারেন। কেননা চিকিৎসা প্রদানের জন্য চিকিৎসকই আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন। মোবাইলে প্রতিদিন আক্রান্তদের খোঁজ নিয়েছেন, সাহস দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে যেমন একটি নবদিগন্তের সূচনা করেছিল মেহেরপুর, তেমনি করোনাযুদ্ধেও এক নবদিগন্তের সূচনা করেছে মেহেরপুর। আর্ত মানবতার সেবার পাশাপাশি আমরা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছি। শোকের মাস আগস্টে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী, গ্রেনেড হামলা দিবস পালন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শত ঘণ্টা ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রাম করেছি আমরা।’ মেহেরপুরের বেশির ভাগ নেতার করোনাকালীন সময়ে মাঠে না থাকার কারণ কী প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘করোনা একটি সংক্রমিত রোগ। করোনাকে আনেকেই ভয় পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। বয়স ও ভয়জনিত কারণে অনেকে মাঠে নামেননি।’

সর্বশেষ খবর