বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাধ্যমতো মানুষের পাশে ছিলাম

-মাসুদ অরুণ

সাধ্যমতো মানুষের পাশে ছিলাম

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ বলেছেন, ‘করোনাকালে রাজনৈতিক কর্মকান্ড সীমিত থাকলেও এপ্রিলের মধ্যভাগ থেকে আমরা সাধ্যমতো মানুষের পাশে ছিলাম। বিএনপি ব্যাপক জনসচেতনতা ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করে। দলের অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। মেহেরপুর বিএনপি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৯ হাজার পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে।’ মাসুদ অরুণ বলেন, করোনাকালে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, তা নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। আওয়ামী লীগের দলীয়ভাবে ত্রাণ তৎপরতার ক্ষেত্রে যে ভূমিকা রাখা উচিত ছিল, সেটি গোচরীভূত হয়নি। সরকারদলীয় নেতাদের মাঠেই দেখা যায়নি। বরং সরকারি ত্রাণ নিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও দুর্নীতির নির্লজ্জ মহড়া চলেছে। পছন্দের একই ব্যক্তিকে বারবার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করেও একই ব্যক্তিকে একাধিকবার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। মেহেরপুর আওয়ামী লীগের দলীয় বিরোধের কারণে নৌকা সমর্থিত দুস্থ-অসহায়রাও ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আবার আওয়ামী লীগের কোনো কোনো জনপ্রতিনিধি সরকারি ত্রাণকে নিজের ত্রাণ বলেও চালিয়েছেন। তিনি বলেন, মেহেরপুর হাসপাতালে করোনার কোনো দৃশ্যমান চিকিৎসা হয়নি, এমনকি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত গাফিলতি ছিল এবং এখনো আছে। তিনি দাবি করেন, সাকল্যে জেলায় সর্বনিম্ন করোনা উপসর্গ রোগীর পরীক্ষা হয়েছে। জেলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, জেলায় মারা গিয়েছেন মাত্র আটজন। তাহলে বাকি যারা মারা গেলেন তারা কী রোগে মারা গেলেন সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগেরই। বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ বেড, মুজিবনগর ও গাংনী হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মেহেরপুর হাসপাতালের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স জরুরি প্রয়োজন। এ ছাড়া কুষ্টিয়া মেডিকেলের করোনা ল্যাবের বিতর্কিত পরীক্ষার বিষয়ে নেপথ্যে হস্তক্ষেপ আছে বলে জনগণ মনে করেন, যাতে করোনার প্রকৃত চিত্রটা জনগণের সামনে না আসতে পারে। তবে পুলিশ প্রশাসনের করোনা সচেতনতা কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর