নগদ রেজিস্ট্রেশন ফি, তল্লাশি ফি ও নকলের ফি বাবদ আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের মামলায় হাই কোর্টেও জামিন মেলেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন ইয়াছিন মিয়া ওরফে ‘কোটিপতি পিয়নের’।
গতকাল বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে এ রায় দেয়। এর আগে গত ১৬ আগস্ট তার জামিন কেন দেওয়া হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। গতকাল আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। দুদকের পক্ষে ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন। আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তফা সারোয়ার। এর আগে গত ৭ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া দায়রা জজ আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে। এরপর তিনি হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তার জামিন নিয়ে রুল জারি করেছিল আদালত। জানা গেছে, অবৈধভাবে এ পিয়ন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন ঘটনার বিবরণ জানিয়ে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন ইয়াছিন মিয়া নগদে রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি ও নকলের ফি বাবদ আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় আইআরও নিপেন নাথ সিকদার পরিদর্শনের সময় ধরতে পেরে অভিযোগ করেন। পরে ঘটনাটি তদন্ত করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান। তিনি ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর দুদকে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখনো তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।
