ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি গ্রামে দেখা যায় সারি সারি গাছে থোকা থোকা মাল্টা। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছ। জানা যায়, কচুবাড়ি গ্রামের শাহাদাত হোসেন পেশায় শিক্ষক। তিনি গত বছর মাল্টা চাষ শুরু করেন। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে কিছু মাল্টা বিক্রিও করেন। সুস্বাদু হওয়ায় তিনি সে বছর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দুই একর জমিতে মাল্টার নতুন বাগান করেন। শাহাদাত হোসেনের আগ্রহ দেখে জেলা কৃষি বিভাগ তাকে মাল্টা-কমলা চাষের প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাকে বারি মাল্টা-১ জাতের ৭৫টি, ৫টি কমলা লেবু, ২০টি কলম্ব লেবু, ১০টি বাতাবি লেবু চারা দেওয়া হয়। তিনি চারাগুলো তার জমিতে রোপণ করেন। এরপর শুরু হয় পরিচর্যা।

শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহার না করে ভেষজ কীটনাশক তৈরি করে পোকামাকড় দমন করি। আমরা যারা মাল্টা চাষ করেছি, তারা এখনো বাজার সৃষ্টি করতে পারিনি। এলাকার লোকজনের কাছেই প্রতি কেজি মাল্টা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করতে পারি। শুধু শাহাদাত হোসেনই নন, এলাকার শতাধিক চাষি মাল্টা চাষ করছেন। মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন স্থানীয় যুবকরা। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, মার্চ-এপ্রিল মাসে বারি মাল্টা-১ গাছে ফুল আসে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ফল পাকে। ৫-৬টা মাল্টা ওজনে এক কেজি হয়। ঠিকভাবে পরিচর্যা করলে একটা পরিণত গাছে গড়ে ১৫০ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত ফল ধরে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, জেলায় ৪৫ দশমিক ৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা-কমলা আবাদ হচ্ছে।