রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাবনায় নৌকার প্রার্থী নূরুজ্জামান বিপুল ভোটে বিজয়ী

বিএনপির প্রত্যাখ্যান

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় নৌকার প্রার্থী নূরুজ্জামান বিপুল ভোটে বিজয়ী

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ নুরুজ্জামান বিশ্বাস বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ জানান, আমরা ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিস ও আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে নিশ্চিত হয়েছি যে, নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নৌকা প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৪। এর মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪ ও আটঘরিয়া উপজেলায় ৯০ হাজার ৬৪০। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৭৬। এর মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলায় ৪ হাজার ৫১ ও আটঘরিয়া উপজেলায় ১ হাজার ৫২৫, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৪। এর মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলায় ১ হাজার ৩৪৬ ও আটঘরিয়া উপজেলায় ১ হাজার ৭২৮।

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। তবে মাঝে মাঝে দল বেঁধে কিছু যুবক এসে লাইনে দাঁড়ালেও সাংবাদিকরা নাম, বাবার নাম জিজ্ঞেস করলে তারা বিব্রত হন। সকাল ৯টা থেকে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কেন্দ্রেই বিএনপির পোলিং এজেন্ট ছিল না। শুধু আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্ট বসে থাকতে দেখা গেছে। সকাল ১০টার দিকে দাশুড়িয়া এম এম হাইস্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বুথেই আওয়ামী লীগের দুজন করে পোলিং এজেন্ট বসে আছেন।

নির্বাচন বাতিল চায় বিএনপি : বিএনপি প্রার্থী হাবিব ঈশ্বরদীর নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ সরকার নির্লজ্জভাবে ভোট করছে। কোনোরকম ভোটের পরিবেশ নেই। আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে তিনটি মামলা দায়ের করে কর্মীদের এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। কোনো সেন্টারে বিএনপির এজেন্ট দিতে দেয়নি। এ নির্বাচন বাতিল করে তিনি পুনর্নির্বাচন দাবি করেন।

বিএনপি কর্মীকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়নি : বেলা পৌনে ১টার দিকে পাবনা প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী হাবিব এ নির্বাচনে জিততে আসেননি, তিনি বাণিজ্য করতে এসেছেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তিনি প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্র করছিলেন। তাদের কোনো প্রচার-প্রচারণাও ছিল না। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তিনি এ নির্বাচন বাতিল চাইছেন। এস এম কামাল বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা কোথাও বিএনপি কিংবা হাবিব সাহেবের কোনো কর্মীকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেননি। হুমকি-ধমকির প্রশ্নই ওঠে না।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, ১ হাজার ৫৪৮ জন আনসার সদস্য ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। দায়িত্বে ছিলেন ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, সার্বিক পরিবেশ ভালো রয়েছে। সব কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার মোতায়েন আছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষ খবর