বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

অঙ্কের ধাঁধায় ফেলে গ্রাহকের পিন জেনে নিত হ্যাকাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অঙ্কের ধাঁধায় ফেলে বিকাশ গ্রাহকের কাছ থেকে পিন নম্বর জেনে নিত হ্যাকাররা। ফরিদপুরের মধুখালী থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা কর্মকান্ডের পুরোটাই তদারকি করত তারা। মধুখালী থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর চক্রের নয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর পরই জানা যায় চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য। এক উপসচিব ও তার ছেলেও তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বেলা ১২টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ-সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, বিকাশের বিভিন্ন দোকানের ক্যাশ ইন রেজিস্টার নম্বর লেখা পাতার প্রতিটি ছবি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে নিত ফরিদপুরের মধুখালী থানার ডুমাইন গ্রামের হ্যাকাররা। এরা চার ধাপে হ্যাকিং করে আসছিল। নম্বর লেখা পাতার ছবিই শুধু নয়, হ্যাকাররা বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রি করা বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্টের প্রতিটি সিম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় কিনে নিত। ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, কল সেন্টারের মতো দেখতে ১৬২৪৭ নম্বর থেকে কল দিয়ে এ নম্বরের সঙ্গেই গ্রাহকের পিন নম্বরটি দিয়ে গুণ করতে বলা হয়। গুণ করলে যে সংখ্যা আসে সেটি জানতে চাওয়া হয়। গ্রাহক এ সংখ্যাটি বলে দেওয়ার পর হ্যাকাররা ১৬২৪৭ দিয়ে সংখ্যাটিকে ভাগ দেয়। বেরিয়ে আসে একেবারে আসল পিন নম্বর। গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হ্যাকারের কাছে। এরপর নিজেদের কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা ক্যাশ আউট করে নিত। যে ব্যক্তি ক্যাশ আউট করে দিতেন তাকে প্রতি ১০ হাজারে ১ হাজার টাকা দিত হ্যাকাররা। টাকা ক্যাশ আউট করিয়ে নিজেদের পার্সোনাল বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিত। হ্যাকার চক্রের গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো রানা খান, লিটন, নয়ন শেখ, টিটু মোল্লা, সালমান মোল্লা, আকাশ শেখ, মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুর রহিম ও তানজিল। তাদের কাছে দুটি আইফোনসহ ১০টি মোবাইল ফোন, ৩৭টি সিম ও একটি প্রোভক্স গাড়ি পাওয়া যায়। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাশ প্রতারণার ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা হয়।

সর্বশেষ খবর