শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
ভাগ্নিজামাইয়ের স্বীকারোক্তি

চোখেমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কালাম দম্পতিকে

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের পুবাইল থানার বসুগাঁওয়ের চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম (৩৭) ও তার স্ত্রী পুতুল (৩০) হত্যাকা- সম্পর্কে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ভাগ্নিজামাই পলাশ (২৩)। তিনি বলেছেন, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি ও তার সঙ্গীরা মিলে কালাম-পুতুল দম্পতির চোখে মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে শিশু সন্তানের সামনে ধারালো চাপাতি দিয়ে তাদের কুপিয়ে হত্যা করেন।

গতকাল গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, পুবাইলে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির জেরে এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় জড়িত থাকায় নিহত কালামের ভাগ্নিজামাই পলাশকে গত রবিবার ভোরে সাপমারা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, এরপর আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সহযোগীদের নিয়ে পলাশ তার মামাশ্বশুর কালামের বাড়ি যান। তারা কালামকে কৌশলে ঘুম থেকে ডেকে ওঠান। কালাম ও তার স্ত্রী ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখে মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেন। এ সময় দুই বছরের শিশু সন্তানের সামনে বাবা-মাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পলাশ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। তিনি আরও জানান, পলাশের শাশুড়ির পৈতৃক সম্পত্তি ওপর নির্মিত ঘর ও জমি তার মামাশ্বশুর কালাম ও খালাশাশুড়ি হেলেনা বিক্রির জন্য বায়না করেন। ওই জমি ক্রেতার সঙ্গে যাতে রেজিস্ট্রি করতে না পারেন সেজন্যই কালাম ও তার স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত পলাশ, তার শ্বশুর মানিক (৪৭), নিহত কালামের ভগ্নিপতিসহ চারজনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে।

সর্বশেষ খবর