সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস বলেছেন, দুর্যোগ, সংকট ও জনগণের দুঃসময়ের কান্ডারি হিসেবে কাজ করছে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, করোনার সময় সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে ছিল। সচেতনতা ক্যাম্পিং, লিফলেট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার-মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার শাহজাদপুরে ৩ শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেলকুচি উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। করোনায় কর্মহীন মানুষের জন্য বেলকুচিতে একটি নির্দিষ্ট দোকানে চাল জমা রাখা হয়েছিল যেখান থেকে কর্মহীন প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে ৫-১০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। আড়াই হাজার পরিবারের মধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে চাল-ডাল-আটা বিতরণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে লিফলেট, মাস্ক ও ১৩ হাজার ৫০০ পরিবারের মধ্যে সাবান, চিঁড়া ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে ১৫ হাজার পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা জনপ্রতি সাড়ে ৪ হাজার ও আড়াই হাজার করে বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার সময় ল্যাট্রিন ও নলকূপ নির্মাণ, হাইজিন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, চাল, মুড়ি, আটা, তেল, লবণ বিতরণ করা হয়েছে। নদী ভাঙন কবলিতদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপিরাও করোনা ও বন্যার সময় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। তিনি জানান, করোনার সময় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো স্বল্পপরিসরে হলেও পালন করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা-মামলার বিষয়ে বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর জেলার রাজনীতিতে একটু অস্থিরতা বিরাজ করছিল। ছাত্রলীগ নেতা বিজয় হত্যা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। তবে বর্তমানে জেলার রাজনীতি স্থিতিশীল। ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলে বড় ধরনের কোনো কোন্দল নেই। দলের ভিতরে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে কিছু দ্বন্দ্ব রয়েছে। নেতৃত্ব নিয়ে কিছুটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। বড় দলে এ রকম থাকবেই। তবে সংকটকালে সবাই একজোট হয়ে কাজ করেছেন।