সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নেত্রকোনায় ঘরের মেঝেতে গৃহবধূর গলা কাটা লাশ

একই অবস্থায় উদ্ধার দেবর

প্রতিদিন ডেস্ক

নেত্রকোনায় এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে পূর্বধলা উপজেলার পশ্চিমপাড়া গ্রাম থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাশে পড়ে থাকা এক পুরুষকেও গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ । তার নাম রাসেল মিয়া (৩০)। খবর বিডিনিউজের।

নিহত লিপি আক্তার (৩৫) উপজেলা সদরের পূর্বধলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। আহত রাসেল মিয়া একই বাড়ির আলাল উদ্দিনের ছেলে এবং লিপির স্বামীর চাচাতো ভাই। তিনি পূর্বধলা সরকারি কলেজ রোডে ফটোকপি ও কম্পিউটারের ব্যবসা করেন।

রাসেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আজিজুল পঞ্চগড় জেলায় বিজিবিতে কর্মরত থাকায় লিপি তাদের ১২ বছরের সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার রাতে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে তার ঘরের এক পাশে এবং লিপির দেবর সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের অন্য পাশে ঘুমাচ্ছিলেন। লিপির দেবর সিরাজুলকে উদ্ধৃত করে পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, রাত ৩টার দিকে হঠাৎ গোঙানির শব্দ শুনে সিরাজুল ও তার স্ত্রী জেগে ওঠেন। তারা গলাকাটা অবস্থায় লিপি ও রাসেলকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন।

এতে বাড়ির লোকজন এসে আহত দুজনকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিপিকে মৃত ঘোষণ করেন। আহত রাসেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরশেদা খাতুন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা কাগজ কাটার এন্টিকাটার (ছুরি) উদ্ধার করা হয়েছে।

‘এখনো ঘটনার প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না; তদন্ত চলছে।’

নিহত লিপির শ্বশুর জালাল উদ্দিন জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে তার ছেলে আজিজুল বিজিবিতে যোগ দেন। এরপর উপজেলার জারিয়া গ্রামের লিপিকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও গত কয়েক বছর ধরে লিপির সঙ্গে রাসেলের অনৈতিক সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে তার ছেলে আজিজুল ছুটিতে বাড়িতে এসে এ নিয়ে পারিবারিকভাবে দেন দরবার করে কর্মস্থলে ফিরে যান।

কী কারণে কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না বলেন তিনি।

খুনের খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরশেদা খাতুন, পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

সর্বশেষ খবর