একদিনের ব্যবধানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ফের মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিনে রবিবার মারা যান ২৩ জন। ওই দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১২৫ জন। গতকালের ২৭ জন মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৭৫ জনে। এ ছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৪৪২ জনের শরীরে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হলো ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৩২ জন করোনা রোগী।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১১ হাজার ৮০৯টি। ১০৯টি ল্যাবে ১১ হাজার ৭৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ১ হাজার ৪৩১টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫২৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ ২ লাখ ৮৩ হাজার ১৮২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থ হয়েছে ৭৬ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মারা গেছে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে ২৫ জন এবং দুজন বাড়িতে মারা গেছে। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ১৫৫ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছে ১ হাজার ২২০ জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, রাজশাহীতে ১ জন, খুলনায় ৩ জন এবং বরিশালে ১ জন বাসিন্দা ছিলেন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯ তম অবস্থানে।