মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাঙা হচ্ছে মিন্টো রোডের সেই লাল দালান

নতুন করে হবে ডুপ্লেক্স বাড়ি

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

ভাঙা হচ্ছে মিন্টো রোডের সেই লাল দালান

ভাঙা হচ্ছে ২৯ মিন্টো রোডের শতবর্ষী সেই লাল দালানটি। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন হিসেবে বরাদ্দকৃত ভবনটির আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

ইতিহাসের সাক্ষী এই ভবনটি ভেঙে বিরোধীদলীয় নেতার জন্য ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি মন্ত্রীদের থাকার জন্য সেই ভবন ঘেঁষেই বেশ কয়েকটি মিনিস্টার অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন স্থাপত্য অধিদফতর কাজ শুরু করে দিয়েছে। নতুন নকশা তৈরি করাসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হওয়ার পর এটি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে গণপূর্ত অধিদফতর।

বাড়িটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এক প্রকৌশলী জানান, ব্রিটিশ সংস্কৃতির আদলে নির্মিত দেশের লাল ভবনগুলো ভেঙে নতুন নকশায় সেগুলো নির্মাণের নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এই নির্দেশনার পরই স্থাপত্য অধিদফতর নকশা প্রণয়ন করাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ শুরু করে। এ ছাড়া ভিআইপিদের নিরাপত্তার বিষয়ও আছে। এত বড় জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা একটি বাড়ির জন্য বহুসংখ্যক নিরাপত্তা-পুলিশ প্রয়োজন। তাই সেখানে যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন তাদের দিয়েই পাশের নির্মিতব্য মিনিস্টার অ্যাপার্টমেন্টের ৮-১০ জন মন্ত্রীর নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে।

জানা গেছে, অবসরে যাওয়া স্থাপত্য অধিদফতরের সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাছির বাড়িটির নতুন নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছিলেন। কাজ কিছুদূর এগোনোর পর তিনি অবসরে চলে যান। যে কারণে নকশা প্রণয়নের কাজটি তিনি সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। করোনা পরিস্থিতির কারণে নকশা প্রণয়নের কাজটি চলছে ধীরগতিতে। ১৯০৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের কর্তাদের বসবাসের জন্য প্রায় ২ দশমিক ৫ একর জমিতে নির্মিত ভবনটি বাইরে থেকে চাকচিক্যময় ও দৃষ্টিনন্দন মনে হলেও দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত পড়ে থাকায় ভিতরকার অবস্থা খুবই সঙ্গিন। দীর্ঘদিন আগে বাড়িটি সংস্কারের জন্য বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের দফতর থেকে একটি চিঠি এসেছিল। এরপর আর কোনো খবর রাখেননি কেউ। যে কারণে বাড়িটি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি। গত দুই যুগ ধরে বিরোধীদলীয় কোনো নেতাই এখানে না ওঠায় এর রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা সংস্কারে গণপূর্তের কোনো বরাদ্দও নেই আপাতত। যে কারণে এটি পরিত্যক্ত হিসেবেই পড়ে রয়েছে। এখন শুধু তিনজন লোককে দৈনিক ভিত্তিক হাজিরায় রাখা হয়েছে বাড়িটি পাহারার জন্য, যাতে কোনো কিছু হারিয়ে না যায়।

সর্বশেষ খবর