মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক কৃষক ও বেকার যুবকরা। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে অনেকে দেখছেন লাভের মুখ। সফলতা দেখে এগিয়ে আসছেন অনেক প্রান্তিক কৃষক ও বেকার যুবক। আর উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রান্তিক কৃষক ও বেকার যুবকদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। মাল্টা উৎপাদন বাড়াতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেগমগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ রাজস্ব খাত থেকে ১০টি মাল্টা বাগান করার বরাদ্দ পায়। এরই আলোকে উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক সেলিমসহ ১০ জন প্রান্তিক কৃষক ও বেকার যুবককে চারা, সারসহ আনুষঙ্গিক উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করেন অনেকে। প্রথম বছর জলাবদ্ধতার কারণে কিছু গাছ মরে ভালো ফলন না হলেও চলতি বছর বাগানগুলোতে প্রচুর ফল এসেছে। বর্তমানে উপজেলায় ৫০টি মাল্টা বাগান রয়েছে।

লাভের মুখ দেখছেন অনেক মাল্টা চাষি। সফলতা দেখে অনেকে মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। কুতুবপুরের মাল্টা চাষি ইব্রাহিম সেলিম জানান, আমরা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় মাল্টা চাষ করেছি। আমার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ফল বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার আশা করছি। আগামীতে আরও লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। বেগমগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম র্ভূইয়া জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ অঞ্চলে মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটবে এবং দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বাদশা জানান, মাল্টা চাষের মাধ্যমে এলাকায় বেকারত্ব দূর করা ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রান্তিক কৃষক ও বেকার যুবকদের পাশে দাঁড়াব আমরা। কোনো প্রান্তিক কৃষক বা বেকার যুবক মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চাইলে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।