মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁস করে বিপুল টাকা

মূলহোতা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা আবদুস সালাম খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রাজধানীর রামপুরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সিআইডি কার্যালয়ে এ সংক্রান্তে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

সিআইডি সূত্র জানায়, প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত সালামের পরিবারের সাত সদস্য। ২০১৩ সাল থেকে এরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ছাপাখানা থেকে ফাঁস করেছে প্রশ্নপত্র। তারা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েকশ কোটি টাকা। পারিবারিক এ সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড ছাপাখানার মেশিনম্যান আবদুস সালাম খান ও তার খালাতো ভাই জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নু। সারা দেশের ৩৬টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে অন্তত ১৫টিতে প্রতি বছরই দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, যারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েছিল। চক্রে একই পরিবারের অন্যরা হলো- জসিমের ভাতিজা পারভেজ খান, জসিমের ভগ্নিপতি জাকির হোসেন দীপু, জসিমের ভায়রা সামিউল জাফর, জসিমের স্ত্রী শারমিন শিল্পী ও জসিমের ভাগ্নে রবিন। এদের মধ্যে শুধু জসিমেরই ৪০ কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। সালামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার কাশিপুর গ্রামে। তার খালাতো ভাই জসিমের বাড়ি একই উপজেলার বানিয়ারা গ্রামে। অপর মাস্টারমাইন্ড জসিমকে ১৯ জুলাই রাজধানীর শাহআলী থানার এইচ-ব্লকের ১ নম্বর রোডের ৪৩ পৃথ্বী ভিলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই এলাকার এ-ব্লকের ১ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাসা থেকে গ্রেফতার হয় জাকির হাসান দিপু। আর পারভেজ খানকে গ্রেফতার করা হয় মিরপুর-২ এর চ-ব্লকের ৯১/৯২ নম্বর বাড়ি থেকে। এ ঘটনায় পর দিন ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অন্তত ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করে সিআইডি।

২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে আসছে বলে স্বীকার করেছে তারা। এরপর গ্রেফতার হয় সালামের খালাতো বোন মীরা ও তার স্বামী।

পৃথক একটি অভিযোগে ২০১৬ সাল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে আছে আবদুস সালাম খান। এরপরও নিজস্ব গড়ে তোলা বলয়ের মধ্য দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে গেছে সে। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ওই প্রেসে সালামের চক্রের আরও কিছু লোক থাকতে পারে। যাদের মাধ্যমে সে প্রশ্ন বের করে আনত।

সর্বশেষ খবর