বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভারতে কমে আসছে প্রতিদিনের আক্রান্ত

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাসে ভারতে প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসছে। গত কয়েক দিন ধরে নতুন সংক্রমণ ৭০ থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে ছিল। এক দিন আগেও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজারের কাছাকাছি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ হাজার ২৬৭। এক দিনে সংক্রমণের চেয়ে সুস্থতার সংখ্যাও বেশি বলে জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৫ হাজার ৭৮৭ জন রোগী। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৮৪ জনের। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। গত দুই মাসেই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে করোনায় মৃত্যুহার কমেছে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ৫৬ লাখের বেশি করোনা রোগী সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারতে এখন সুস্থতার হার ৮৪.৩৪ শতাংশ। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ১৯ হাজার ২৩। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৪০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভারতে ৮ কোটির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং কেরালা। করোনা সংক্রমণের অধিকাংশই এই পাঁচ রাজ্যের। নিউইয়র্কে ফের বন্ধ হচ্ছে স্কুল-রেস্তোরাঁ : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় শহরের ৯টি এলাকায় স্কুল, রেস্তোরাঁ ও জরুরি নয় এমন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। বুধবার থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। নগরীর সিটি হলে মেয়র বিল ডি ব্লাজিও এসব কথা বলেছেন। তবে বিষয়টি বর্তমানে রাজ্য সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মেয়র বলেন, নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ও কুইন্সে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা প্রতিরোধে দীর্ঘদিন এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আবার খোলা শুরু করেছে।

 কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ৭ অক্টোবর থেকে তা আবার বন্ধ করে দিতে হবে। বিষয়টি বর্তমানে রাজ্য সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আবার বড় ধরনের কিছু ঘটনার আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে। স্কুল, রেস্তোরাঁ ও জরুরি নয় এমন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধের বিষয়টি রাজ্য সরকার অনুমোদন দিলে এসব এলাকার শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করতে হবে।

বিল ডি ব্লাজিও বলেন, স্কুল, রেস্তোরাঁ ও জরুরি নয় এমন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দিতে আপাতত নগরীর নয়টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্রুকলিনের বেনসনহার্স্ট, বরো পার্ক, গ্রেভসেন্ড, মিডউড ও শেপসহেড বে এবং কুইন্সের ফার রকঅ্যাওয়ে ও কিউ গার্ডেনস। এসব এলাকায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের বাস। কর্তৃপক্ষ বলছে, স্কুল, রেস্তোরাঁ ও জরুরি নয় এমন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধের বিষয়টি রাজ্য সরকার অনুমোদন দিলে এসব এলাকার শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করতে হবে। এতে অন্তত ১০০টি সরকারি ও ২০০টি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনলাইনেই ক্লাস করতে হবে। ব্লাজিও আরও বলেন, নগরীর ওই নয়টি এলাকার রেস্তোরাঁয় আউটডোর ও ইনডোর ডাইনিং বন্ধ থাকবে। তবে প্রার্থনালয় খোলা থাকবে। নগরীর নয়টি জিপ কোড এলাকায় গত সাত দিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের বেশি। এ ধরনের আরও ১১টি এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত গত সাত দিনে পুরো নগরীতে করোনা সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর