শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চার হাজার কোটি ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চার হাজার কোটি ছাড়াল

রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই একের পরে এক রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়ন (চার হাজার কোটি) ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র  মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন বা চার হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ধরে)। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন  বৈধপথে রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে। রফতানিও  কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার  ওবদেশিক ঋণ সহায়তা এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীর ঋণ ও অনুদানও বেড়েছে। ফলে রিজার্ভ নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবত কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে সর্বোচ্চ  রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জুলাইয়ে। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এর আগের মাস জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

এদিকে চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৫২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এর আগে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে গত অর্থবছর রেমিট্যান্সের ওপর ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই  বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরও  রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই বেধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। যা বর্তমানে নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে।

সর্বশেষ খবর