১৯ বছর আগে চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় তিনজনকে আমৃত্যু দন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে আপিল বিভাগ। গতকাল বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এর আগে গত মঙ্গলবার ওই তিন আসামির মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছিল আপিল বিভাগ। গতকাল নতুন করে এ অর্থদন্ড দেওয়া হলো। আমৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন- তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। আসামি আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু ও আজমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা। পরে অমিত দাসগুপ্ত বলেন, ৬ অক্টোবর রায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয়। এ যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদন্ড। কিন্তু ঘোষিত রায়ে জরিমানা আরোপের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়নি। গতকাল আদেশে আপিল বিভাগ তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও অতিরিক্ত এক বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম মহানগরীর জামাল খান রোডের বাসায় গুলি করে হত্যা করে।