শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নীলকুঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নীলকুঠি

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পানানগরে ১৮৯৪ সালে নির্মাণ করা হয় ঐতিহাসিক নীলকুঠি; যেটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একটি বাড়ি ও নীলকুঠি তৈরি করলেও এখন শুধু এক টাওয়ার বিশিষ্ট ঐতিহাসিক স্থাপত্যের একটি নিদর্শন আছে।

জানা যায়, ব্রিটিশ আমলে দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর গ্রামে একজন ইংরেজ এসেছিলেন। তিনি সোনাকান্দোর বিলে পাখি শিকার করতেন। পাখি শিকারের সময় যেখানে নীলকুঠি অবস্থিত, সেই সমতলভূমির জমিগুলো তার পছন্দ হয়েছিল। তখন পানানগর গ্রামে দুজন জমিদার ছিলেন। একজন জগিন্দ্রনাথ মৈত্র, অন্যজন গ্যানেদা গোবিন্দ। সেই ইংরেজ দুই জমিদারের কাছ থেকে পছন্দের ২৭ বিঘা জমি নিজের নামে পত্তন নিয়েছিলেন। আর সেখানে দখিন দুয়ারি বড় একটি বাড়ি ও নীলকুঠি তৈরি করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তারা একে একে এখান থেকে চলে যান। আর সেই প্রথম ইংরেজ সাহেব যিনি কর্তা হিসেবে ছিলেন তার মৃত্যু হয়েছে পানানগর গ্রামেই। তাকে কবর দেওয়া হয়েছিল তাদের বাড়ির (নীলকুঠি) পাশে। এখন সেই কবরের চিহ্ন আর নেই। পানানগর গ্রামের বাসিন্দা সোহরাফ মোল্লা, একরাম উদ্দিন, কাশেম মিয়াসহ কয়েকজন জানান, তারা যখন ছোট তখনো এ নীলকুঠি বড় বাড়ির কিছু চিহ্ন ছিল। বর্তমানে সব হারিয়ে শুধু টাওয়ারটা অবশিষ্ট আছে। এ ছাড়া আশপাশের সব জায়গা দখল হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর