শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

সেই চার শিশুকে পৌঁছে দেওয়া হলো অভিভাবকের কাছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

উচ্চ আদালতের নির্দেশে গতকাল সকালে মুক্তি পেল ধর্ষণ মামলার আসামি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার রূনসী গ্রামের চার শিশু। খেলার সঙ্গীকে ধর্ষণের মামলায় বুধবার শিশু সাইদুল বয়াতী, তামিম হোসেন সুলায়মান, হাফিজুল ইসলাম লাবিব এবং শাওন হাওলাদারকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। আদালতে শিশুদের জামিন না চাওয়ায় বিচারক তাদের সেখানে পাঠান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে পারিবারিক বিরোধের জেরে ওই চার শিশুকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো হয় বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। তাদের মতে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের (এমপির) প্রভাবে ধর্ষণের সত্যতা যাচাই না করেই অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশ ধর্ষণ মামলা নিয়েছে এবং চার শিশুকে গ্রেফতার করেছে। এ প্রসঙ্গে বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল রিপোর্টে ‘সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট’ উল্লেখ থাকায় পুলিশ গুরুত্ব দিয়েছে। নির্যাতিত শিশুটি পুলিশকে বলেছে, খেলার এক পর্যায়ে সাইদুল বলে এসো ওভাবে খেলি। তিনি আরও বলেন, চার শিশু ধর্ষণ করতে পারে না, এটা যেমন ঠিক। মেয়েটির যৌনিতে ক্ষত আছে সেটাও ঠিক। ওরা যৌনাঙ্গ বা আঙ্গুল দিয়ে গুঁতাগুঁতি করতে পারে। আবার ওরা যে করেছে সেটা নাও হতে পারে, অন্য কেউও করতে পারে। মামলা হয়েছে, পুলিশ তাদের ছেড়ে দিলে সমালোচনা হতো। আদালতে তাদের জামিন হলে বিষয়টি এতদূর গড়াত না। শিশুদের স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, ওই নাবালক শিশুরা ধর্ষণের কিছুই বোঝে না। কথিত ধর্ষণের ঘটনাস্থলের দুই পাশে বাদী এবং এক নম্বর আসামির বাসা। রবিবার বিকালে সেখানে ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা ঘটলে শিশুদের ডাক-চিৎকার শোনার কথা। তারা কিছুই শোনেননি। পারিবারিক শত্রুতা উদ্ধারে চার শিশুকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। শিশু সাইদুলের মা হোসনেয়ারা বেগম জানান, মামলার ভিকটিম শিশুর দাদি রেণু বেগম স্থানীয় এমপির বাসায় ফুটফরমায়েশ করেন। এ কারণে এমপির প্রভাবে পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ যাচাই না করেই শিশুদের চ্যাংদোলা করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রেণুর ছেলে হাসান বয়াতি ও তার স্ত্রী লাবণী বেগম বলেন, জমি নিয়ে আগে বিরোধ ছিল, এখন নেই। শিশুরা কিছু না করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে কেন? তুচ্ছ বিষয়ে প্রভাব খাটানোর বিষয়ে জানতে নাসরিন জাহান রতœা আমিন এমপির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ খবর