শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

শেকৃবির গবেষণায় নতুন ফসল কিনোয়া

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

শেকৃবির গবেষণায় নতুন ফসল কিনোয়া

শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (শেকৃবি) গবেষণায় দেশে অভিযোজিত হয়েছে শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পুষ্টি উপাদানে ভরপুর সুপারফুড ‘কিনোয়া’। সম্প্রতি জাতীয় বীজ বোর্ড (এনএসবি) অনিয়ন্ত্রিত ফসলের জাত নিবন্ধনের আওতায় ‘সাউ কিনোয়া-১ (SAU Quinoa-1)
’ নামে ফসলটির নতুন এ জাত নিবন্ধন দিয়েছে। শেকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস তিন বছরের গবেষণায় দেশে সম্পূর্ণ নতুন এ ফসলটির অভিযোজন সম্পন্নে সফলতার মুখ দেখেছেন। পুষ্টি সমৃদ্ধতার কারণে কিনোয়া ইতিমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। কিনোয়া Amaranthaceae পরিবারভুক্ত একটি দানাশস্য, এর বৈজ্ঞানিক নাম Chenopodium quinoa
। ড. পরিমল  বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘২০১৭ সালে ডেনমার্ক থেকে আনা নতুন এ ফসলটির বীজ খরা ও লবণাক্ত অঞ্চলসহ সারা দেশে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। আশানুরূপ ফলাফল পাওয়ার পরই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বীজ বোর্ড দেশীয় আবহাওয়ায় অভিযোজিত এ জাতটির নিবন্ধন দিয়েছে। রবি মৌসুমে এ ফসলটি সারা দেশেই চাষাবাদ উপযোগী। জনপ্রিয়তা পেলে প্রধান খাদ্যশস্য নয়, বরং সম্পূরক খাদ্য হিসেবে কাউনকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে এটি। এতে রয়েছে ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের মতো অতি প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান। রয়েছে প্রয়োজনীয় সব ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড।’ গ্লুটেনের অনুপস্থিতি থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিনোয়া কার্যকরী উপাদেয় বলেও জানান এ গবেষক।

প্রসঙ্গত, পুষ্টি সমৃদ্ধতার কারণে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ সাল থেকেই ল্যাটিন আমেরিকাভুক্ত দেশে শস্যদানা, ফ্লেক্স, পাস্তা, রুটি, বিস্কুট ও বেভারেজ পণ্য হিসেবে কিনোয়া ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ভারতসহ ৯৫টিরও অধিক দেশে কিনোয়া চাষাবাদ হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর