রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

চারদিকে শুধুই প্রতারণা

জাতীয় পরিচয়পত্র, সাইবার হ্যাকিং, বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা করোনা প্রতিরোধের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, পিপিই নিয়েও অপতৎপরতা

সাখাওয়াত কাওসার

চারদিকে শুধুই প্রতারণা

২০১৫ সাল থেকে ২০১৯। মাত্র পাঁচ বছরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মোট সাড়ে ১৩ হাজার মামলার মধ্যে ৫ হাজার ৩০০ জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার তদন্ত করেছে। যেখানে সিআইডি মেট্রো বিভাগ গত পাঁচ বছরে সব মিলিয়ে ৩ হাজার ২০০ মামলার তদন্ত করেছে। এর মধ্যে শুধু প্রতারণার মামলাই ছিল ২ হাজার ১০০। ওপরের চিত্রই বলে দিচ্ছে কীভাবে বাড়ছে প্রতারণার মামলার সংখ্যা। সামনে-পেছনে, ডানে-বাঁয়ে, ওপরে কিংবা নিচে সর্বত্রই যেন ওত পেতে আছে প্রতারকরা। করোনা মহামারীতেও থেমে ছিল না তাদের বিষাক্ত থাবা। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, শিশুখাদ্য, লোভনীয় চাকরির অফারে বিদেশে লোক পাঠানো, সাইবার হ্যাকিং, নামসর্বস্ব গণমাধ্যম, ভুয়া জমি-ফ্ল্যাট দেখিয়ে চলছে প্রতারণার মহা কর্মযজ্ঞ। তবে ‘স্পুফিং কল’ নিয়ে গ্রাহকদের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন খোদ আইন প্রয়োগকারী      সংস্থার সদস্যরা।

আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, সমাজে এখন অর্থটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ধারণা জন্মেছে অর্থের বিনিময়ে সবকিছু কেনা যায়। সংসদে নমিনেশন থেকে শুরু করে যে কোনো পদ-পদবি অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায়। এজন্যই অর্থ উপার্জনে সবাই নেমে পড়েছে। এ কারণে মনে হয় অর্থ উপার্জনটা মুখ্য বাকি সব গৌণ। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখুন, এ বিষয়টা অনেকটা পুলিশের ওপরই নির্ভর করে। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সাক্ষী অনুপস্থিত থাকায় আদালতেরও করার কিছু থাকে না। পিছিয়ে যেতে থাকে বিচারিক কার্যক্রম।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ঢাকা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’-এর ব্যানারে রাজধানীর কাঁঠালবাগানের ৩৩১ ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এবং ৫১/এ পূর্ব তেজতুরী বাজারে অফিস খুলে প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে শত কোটি টাকা। গৃহপরিচারিকা, ভিক্ষুক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সারা জীবনের সঞ্চয় নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো রাস্তায় নেমে পড়েছেন অনেকে। থানা পুলিশ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর অভিযোগ দিয়েও এর কোনো সুরাহা পাননি তারা। ভুক্তভোগীদের একজন ভিক্ষুক তাসলিমা আক্তার। পাঁচ বছর ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য এই প্রতিষ্ঠানে টাকা জমাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রতিষ্ঠানটির অফিস তালাবদ্ধ হওয়ায় রীতিমতো মুষড়ে পড়েছেন তিনি।

একই অবস্থা গৃহপরিচারিকা সাহারা বানুর। এক ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। মাসে ৫ হাজার টাকা করে সাড়ে চার বছর ধরে জমিয়ে আসছিলেন তিনি। সামনে মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা। ভালো একটি কলেজে মেয়েকে ভর্তি করার সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে তার। একই অবস্থা টং দোকানদার শহিদ মিয়ারও। অভিযোগ   প্রসঙ্গে বক্তব্য নিয়ে ঢাকা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন টিটুর মোবাইল ফোনে দফায় দফায় কল করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। স্পুফিংয়ের মাধ্যমে কাস্টমার কেয়ারের মতো হুবহু নম্বর থেকে গ্রাহকদের কল দেয় প্রতারক চক্র। গ্রাহকরা বিশ্বাস করে অবলীলায় তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেন। প্রতারকরা কৌশলে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অনেক সময় প্রতারকরা আরও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য গ্রাহকদের খুদে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, আপনার কার্ডটি ডিঅ্যাকটিভ হয়ে গেছে। সচল করতে হলে ইমেইলে বিস্তারিত পাঠাতে বলে। আবার কিছু প্রতারক লটারি জেতার কথা বলে মানুষকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। তাদের প্রতারণায় ধরা খেয়েছেন খোদ স্পর্শকাতর পেশার অনেক মানুষ। তবে জুনের শুরুর দিকে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৮ যৌথভাবে ঢাকা ও ফরিদপুর থেকে এসব প্রতারক চক্রের ১৩ হোতাকে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করে। এর বাইরে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কথিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে একশ্রেণির প্রতারক।

র‌্যাব সূত্র বলছেন, ২০১৯ এবং চলতি বছর প্রতারণার অভিযোগে ৩৬২টি অভিযান পরিচালনা করে ৯২০ জনকে গ্রেফতার করেছেন তারা। মামলা হয়েছে ৩৭৫টি। র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেখুন, প্রতারণামূলক অপরাধ সব সময়ই ছিল। আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রতারকদের বিরদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। র‌্যাব যখনই কোনো প্রতারণার অভিযোগ পায়, তখনই আইন অনুযায়ী সেখানে অভিযান চালানো হয়। অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ব্যক্তি-সচেতনতার বিকল্প নেই। কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ, তা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তবে সিআইডির (মেট্রো) অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক রেজাউল হায়দার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আসলে এমন কোনো সেক্টর বাদ নেই, যেখানে প্রতারকরা তাদের জাল ফেলেনি। তবে বিশেষ করে এখন সাইবার প্রতারণার মাত্রা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে ফেসবুক হ্যাক করে প্রতারকরা ফাঁদে ফেলছে গ্রাহকদের। কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই না করেই ভুক্তভোগীরা তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। আবার অতিমাত্রায় লোভে পড়ে অনেকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ খোয়াচ্ছেন। সাত বছর আমি সিআইডিতে কাজ করছি। এই সময়ে মেট্রো বিভাগে ৩ হাজার ২০০ মামলার মধ্যে ২ হাজার ১০০-এর বেশি জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলা নিয়ে কাজ করা হয়েছে।’ জানা গেছে, শুধু খাস ও দখল করা জমি নয়, পানির নিচের জমিও নিজেদের দেখিয়েছিল রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। স্বল্পমূল্যে প্লট দেওয়ার কথা বলে প্লটপ্রতি ৫ লাখ টাকা হারে প্রায় ৫ হাজার চুক্তি করে এর মালিক মো. ইমাম হোসেন নাসিম হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ টাকা। রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেক প্লটপ্রত্যাশীর কাছ থেকে তিনি নিয়েছেন ১২ থেকে ২০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন নাসিম। সব শেষ ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকা থেকে নাসিম গ্রুপের মালিক মো. ইমাম হোসেন নাসিম এবং তার তৃতীয় স্ত্রী হালিমা আক্তার সালমাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, ১ লাখ ৩৫ হাজার জাল টাকা, ১ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুই বোতল মদ, চারটি ওয়াকিটকি সেট, ছয়টি পাসপোর্ট, ৩৭টি ব্যাংক চেক ও ৩২টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, নাসিম ঠান্ডা মাথার একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক। তিনি নামে-বেনামে ৩২টি সিমকার্ড ব্যবহার করতেন। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের শতাধিক মামলা রয়েছে। নাসিমের নামে ৫৫টি ওয়ারেন্ট ছিল। তার ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া গেছে।

করোনা মহামারীতে পরীক্ষা না করেই জাল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে ১৫ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম গ্রেফতারের পর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে তার অপরাধের ফিরিস্তি। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্যের পদ বাগিয়ে নেওয়ার পর থেকে লাগামহীন হয়ে পড়ে সাহেদের অপরাধের মাত্রা। এর বাইরে আরিফ চৌধুরী-ডা. সাবরিনা দম্পতির প্রতিষ্ঠান জেকেজির করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়েও দেশে-বিদেশে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন অনেকে।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে পড়েছেন। অপরাধীরাও প্রচলিত পন্থায় অপরাধ সংঘটনে বাধা পেয়েছে। অপরাধের সহজ বিকল্প হিসেবে অনেকেই প্রতারণাকে বেছে নিয়েছে। মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেক প্রতারক প্রতারণা করছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রতিদিনই গ্রেফতার হচ্ছে। প্রতারণা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পুলিশের পেজ ও মিডিয়ায় নানা ধরনের সচেতনতামূলক বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার করা হচ্ছে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

 

অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে এটা খুব স্বাভাবিক। তখন পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় মানুষের মধ্যে দ্রুত পাওয়ার আশা, অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। সম্প্রতি নাসিম রিয়েল এস্টেটের প্রতারণার বিষয়টি খুব আলোচিত হয়েছে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এককভাবে এসব প্রতারণা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সমাজ থেকেই সচেতনতার আওয়াজ তুলতে হবে। এদিকে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরিতে নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে সরকারের উচ্চপর্যায়কে। প্রশ্ন উঠছে ‘জাতীয় তথ্যভান্ডার’-এর নিরাপত্তা নিয়েও। ‘এনআইডি’ জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোড এলাকার ডি ব্লক থেকে নির্বাচন কমিশনের দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলামসহ প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি। ডিবি বলছে, মূলত ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্যই ভুয়া বা দ্বৈত এনআইডি তৈরি করা হতো। ব্যাংক ঋণ পাস হলে সেই ঋণের ১০ শতাংশ হারে কমিশন নিত চক্রের সদস্যরা। প্রতারকরা বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইলের ‘আইএমইআই’ (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর পরিবর্তন করে নতুন ‘আইএমইআই’ নম্বর বসিয়ে দিচ্ছে। বাজারমূল্য থেকে কম দামে পাওয়ায় অনেকে এসব মোবাইল সেটের দিকে ঝুঁকছেন। তবে কিছুদিন পর হঠাৎই সেই নতুন ‘আইএমইআই’ চলে গেলে মোবাইল সেটটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরে আবারও নতুন করে ‘আইএমইআই’ নম্বর নিতে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। নইলে ভিন্নমাত্রার ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। এদেরই একজন নরসিংদীর বেলাবোর মুদিদোকানি মো. মুমিনুল হক। গুলিস্তান থেকে কম দামে পুরনো ফোন কিনে পল্লবী থানার একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে যান। পরে পুলিশের তদন্তে মুমিনুল নির্দোষ প্রমাণিত হলেও বেশ কিছুদিন তিনি কারাগারে ছিলেন। জুনে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৮৪ হাজার টাকা দামের ‘স্যামসাং অ্যাসেট প্লাস’ সেট কিনে বিপাকে পড়েন সিলেটের কুমারপাড়ার আমিন আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। কয়েক দিন পরই যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন সেটটির মালিক যাত্রাবাড়ী এলাকারই এক ব্যবসায়ী।

সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ ভূমিকার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতাও বাড়াতে হবে। এসব পুরনো ফোন কেনা বন্ধ করলে কেউ আর বিক্রি করতে পারবে না। অহেতুক কেউ ঝামেলায়ও পড়বে না। ‘স্ট্যাম্প’ ও ‘কোর্ট ফি’। ভালো করে পরখ না করলে কোনোভাবেই বোঝা যাবে না সেটি আসল, না নকল। খোদ ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যেই বছরের পর বছর ধরে কেনাবেচা হতো এসব জাল স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি। ২ হাজার টাকা দামের স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এ চক্রের রয়েছে নিজস্ব এজেন্ট ও প্রেস। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) এস এম শামীম বলেন, ‘আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অন্তত ৫ কোটি টাকা মূল্যের জাল স্ট্যাম্প, ডলার, কোর্ট ফি ও টাকাসহ প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রের হোতা মাসুদ। চক্রটি সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি করছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা চক্রের অন্যদের ধরার চেষ্টা করছি।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর