রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

প্রথম দিন করোনা পজিটিভ, পরের দিন নেগেটিভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই মাস ধরে কাশিতে ভুগছেন জামালপুরের সালেহা বেগম (৮৩)। এর সঙ্গে রয়েছে উচ্চরক্তচাপ, বাতের ব্যথাসহ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগ। কাশির কারণে গত বুধবার জামালপুর থেকে ডাক্তার দেখাতে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে আসেন তিনি। তার করোনার উপসর্গ না থাকলেও কর্তৃপক্ষ করোনা টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় পরের দিন আবার টেস্ট করালে তার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয় ওই হাসপাতাল থেকেই। সালেহা বেগমের ছেলে শাহজাহান আলী বলেন, আমার মাকে যে চিকিৎসকের কাছে নিয়মিত চিকিৎসা করান হয়, তিনি এ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। দুই মাস ধরে মা কাশিতে ভুগছেন, এর সঙ্গে বাতের ব্যথাও বেড়েছে। তাই জামালপুর থেকে মাকে নিয়ে এসে গত বুধবার রাত আটটার দিকে হাসপাতালে আসি। মাকে জরুরি বিভাগে রাখা হয় করোনা টেস্ট করার জন্য, সেখানে করোনা রোগীও ছিলেন। রাত ১২টায় টেস্টের নমুনা নেওয়া হয়। পরের দিন দুপুরে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়। দুই মাস কাশি থাকলে তো আর করোনার উপসর্গ হয় না। আমাদের সন্দেহ হওয়ায় ওই হাসপাতালে আবার নমুনা দেওয়াই। পরের দিন রিপোর্ট আসে করোনা নেগেটিভ। রোগী ভর্তির জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনার ফাঁদ পেতেছে। তারা করোনা নিয়ে ব্যবসা করতে চাইছে। আমার ৮৩ বছর বয়সী মাকে ভুল রিপোর্ট দিয়ে করোনা রোগীদের সঙ্গে রেখে তার জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে জানতে আসগর আলী হাসপাতালের হেল্পলাইনে থাকা নম্বরে ফোন দিলে সুলতানা নামে একজন ফোন রিসিভ করেন। করোনা রিপোর্টে গড়মিলের বিষয়ে কথা বলতে হাসপাতালের মুখপাত্রকে দিতে বললে তিনি কো-অর্ডিনেটরকে কল ফরোয়ার্ড করেন। দীর্ঘসময় লাইনে থাকলেও পরবর্তীতে কেউ কল রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ খবর