মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে সরকারি সহায়তায়

-আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল

আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে সরকারি সহায়তায়

করোনা সংক্রমণে সৃষ্ট সংকট থেকে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং তাতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন আবাসন উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল। তিনি বলেন, আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো এখন পুরোদমে কাজ করতে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকের উদ্যোগে মারাত্মক ক্ষতি হবে। ফলে ফ্ল্যাট ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। তাই আলাপ-আলোচনা ছাড়াই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই উচিত হবে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল। তিনি বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর পথে এগোচ্ছে দেশের আবাসন খাত। সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতে দেওয়া প্রণোদনার ঢেউ লেগেছে ফ্ল্যাট আর জমি বিক্রিতে। আবার আবাসনশিল্পে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের জন্য মানুষের মধ্যে একটা বার্তা পৌঁছে গেছে। এ বার্তা হলো- অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে রাখুন। বিনিয়োগ করুন। সরকার আপনাকে সহযোগিতা করছে। আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে নতুন আর কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই। এ নিয়ে কোনো সংস্থা প্রশ্নও করতে পারবে না। তাই ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান হলো- অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের অবাধ সুবিধা নিন। তিনি বলেন, এক অঙ্ক বা সিঙ্গেল ডিজিটের ঋণ সুবিধা, অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ সুবিধা ও রেজিস্ট্রেশন খরচ কমায় ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। যদিও দেশের আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াতে বাজেটে অনেক নজর দিয়েছে সরকার। এখন অনেক ক্রেতা ও উদ্যোক্তা জানতে চান কীভাবে অপ্রদর্শিত আয় ব্যবহার হচ্ছে। ফলে চলমান করোনা সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে এগোচ্ছে আবাসন খাত। তবে করোনাভাইরাসের কারণে আবাসন প্রকল্পে কাজের গতি কমেছে। ফলে প্রকল্পের সময় বাড়ছে। এতে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আবার আবাসন খাতে ঋণ বিতরণকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো করোনাকালে অর্থ ছাড়করণ বন্ধ রেখেছে। এজন্য রিহ্যাব থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর