মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পরিযায়ী পাখি রাঙা ঘুরঘুরি

আলম শাইন

পরিযায়ী পাখি রাঙা ঘুরঘুরি

পরিযায়ী এই পাখি প্রচ- শীতে হিমালয়ের কাশ্মীরাঞ্চল থেকে নেমে আসে আমাদের দেশে। আশ্রয় নেয় সুপেয় জলের জলাশয়ের আশপাশে। নির্জন পরিবেশ পেলে প্রায় সারা দিনই ঝোপ-জঙ্গলের ভিতর ঘুরঘুর করে কাটায়। যার কারণেই এদের নামকরণও হয়েছে ‘ঘুরঘুরি’।

অন্যসব পরিযায়ী পাখির মতো এরা দলবদ্ধভাবে বিচরণ করে না খুব একটা। খুব বেশি হলে জোড়ায় বিচরণ করে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে জলজ উদ্ভিদের ওপর দিয়ে হেঁটে বেড়ায়। শাপলা কিংবা পদ্মপাতার ওপর দিয়ে হাঁটতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। শিকারে বের হয় ভোরে কিংবা গোধূলিলগ্নে। এ সময় এরা খুব করুণ সুরে ডাকাডাকি করে ‘ক্রোক-ক্রোক-টিউক’। আকার আকৃতিতে ডাহুকের মতো হলেও রং ভিন্ন। তবে এরা ডাহুক গোত্রেরই পাখি, প্রজাতি ভিন্ন।

এ পাখির বাংলা নাম ‘রাঙা ঘুরঘুরি’। ইংরেজি নাম ‘রাড্ডি ব্রেস্টেড ক্রেক (Ruddy-breasted crake)’। বৈজ্ঞানিক নাম porzana fusca । এরা ‘রাঙা বুক বাদা কুক্কুট’ নামেও পরিচিত। এই প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ২২-২৪ সেন্টিমিটার। মাথার তালু, কপাল, মুখের দুই পাশ লালচে-বাদামি। ঘাড় থেকে পিঠ ও লেজের ডগা পর্যন্ত জলপাই-বাদামি। গলার মাঝখানে সাদাটে। বুক ও পেট নি®প্রভ বাদামি। চোখ উজ্জ্বল লাল। ঠোঁটের ওপরের দিক সবুজাভ বাদামি, যা কালচে দেখায়। নিচের অংশ হলদেটে। পা ও আঙ্গুল লালচে-কমলা। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। অপ্রাপ্তবয়স্কদের রং ভিন্ন। এদের প্রধান খাবার জলজ উদ্ভিদের বীজ, কেঁচো ও কীটপতঙ্গ। প্রজনন মৌসুম মে থেকে আগস্ট। কাশ্মীরাঞ্চলের হ্রদের কাছাকাছি ঝোপের তলায় কিংবা ঘেসোভূমিতে লতাপাতা অথবা শুকনো ঘাস দিয়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৬-৯টি।

সর্বশেষ খবর