বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া ৮,৫৪৯ পণ্যের তালিকা প্রকাশ

সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈষম্য কমে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া ৮ হাজার ৫৪৯টি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত রবিবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই তালিকায় দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকসহ, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা, সিমেন্ট, হোম টেক্সটাইল এর মতো পণ্য রয়েছে যেগুলো চীনে শুল্ক ছাড়াই রপ্তানি করা যাবে। গত ১৬ জুন বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেয় চীন সরকার। গত ১ জুলাই থেকে এ সুবিধা কার্যকর হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুল্ক সুবিধা দেওয়ার পর চীন শুল্ক সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্যের যে তালিকাটি পাঠায়, সেটি ছিল তাদের নিজস্ব ভাষায়। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে পরে এটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়। রবিবার ১ হাজার ২৭৯ পৃষ্ঠার তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ব্যবসায়ীরা এখন এই তালিকা দেখে পণ্য রপ্তানিতে বাজার সুবিধা নিতে পারবে। বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন জানান, চীনের দেওয়া এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য

বৈষম্য কমে যাবে। দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানিও অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আগে থেকেই এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা আপটার আওতায় তিন হাজার ৯৫টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে আসছিল বাংলাদেশ। গত ১৬ জুন আরও ৫ হাজার ১৬১টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে চীন। সবমিলিয়ে ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্যে অর্থাৎ প্রায় ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয় দেশটি। জানান, নতুন তালিকা অনুযায়ী পোশাক খাতের প্রায় সব আইটেম শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্যে একটি, মাছে ১০টি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১০টি, জুতায় ১৯টি এবং হোম টেক্সটাইলে ৫৫টি নতুন এইচএস কোড যুক্ত হয়েছে শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্ত তালিকায়। তালিকা অনুযায়ী আরও যেসব পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে : বিভিন্ন ধরনের ট্রয়লেট্রিজ পণ্য, সাবান, সার, পশম, কৃত্রিম পশমের তৈরি পণ্য, খনিজ জ্বালানি ও তেল, বিটুমিন, রাসায়নিক পণ্য, জৈব রাসায়নিক, জীবন্ত গরু, ছাগল, মহিষ, ঘোড়া, হাঁস, মুরগি, সাপ, কুচিয়া, দুগ্ধজাত পণ্য সবজি, কফি, চা, মসলা, দানাজাতীয় শস্য, বিভিন্ন মিলের বর্জ্য, বেভারেজ, স্পিরিট, ভিনেগার, তামাক, চিনি, লবণ, সালফার, পাথর ইত্যাদি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর