বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

অ্যামফিটামিন পাচারের রুট ছিল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অ্যামফিটামিন পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার হতো বাংলাদেশ। ভারতীয় চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে ১২ কেজি ৩২০ গ্রাম অ্যামফিটামিন পাউডার পাচারের জন্য সীমান্ত এলাকা বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করেছিলেন গ্রেফতারকৃত কেমিক্যাল ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বান্টি। আমদানির পর বান্টি এসব অ্যামফিটামিন জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী ও নজরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। বাংলাদেশ হয়ে অ্যামফিটামিনগুলো মালয়েশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের জন্য তারা কিনেছিলেন। গত ৭ অক্টোবর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হাতে অ্যামফিটামিন আমদানি ও বিক্রি চক্রের হোতা আবুল কালাম আজাদ বান্টি গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আহসানুল জাব্বার।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজ থেকে অ্যামফিটামিন পাউডার জব্দের ঘটনায় বিভিন্ন সময় ছয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে সর্বশেষ পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে মাহমুদা ম্যানশনের কালাম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক বান্টিকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে চক্রের অন্য সদস্য মাজেদ, জুনায়েদ ইবনে সিদ্দিকী, নজরুল ইসলাম, বাবলু মজুমদার ও বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়। ডিজি আহসানুল জাব্বার বলেন, গ্রেফতারের পর বান্টি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, জুনায়েদ এবং নজরুলকে তিনি অ্যামফিটামিন পাউডার সরবরাহ করেছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন দীন ইসলাম ও সাইফুল। বান্টি এসব মাদক ভারতের কেমিক্যাল ব্যবসায়ী হাবিব মাস্টারের মাধ্যমে চোরাইপথে সংগ্রহ করতেন। আর হাবিব মাস্টারের সহযোগী রাজ খান সীমান্ত পার করিয়ে ট্রিমল্যান্ড, করতোয়াসহ বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতেন। দীন ইসলাম ও সাইফুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর