শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আবাসন স্থাপনে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে জুডিশিয়াল অফিসার্স সমিতির চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবাসন স্থাপনে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে জুডিশিয়াল অফিসার্স সমিতির চুক্তি

রাজধানীর খিলক্ষেত কুড়িল পূর্বাচল এলাকায় আবাসন স্থাপনে গতকাল বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জুডিশিয়াল অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি। চুক্তি শেষে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী ও মহাসচিব আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহাসহ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বসুন্ধরায় আবাসিক প্রকল্প হচ্ছে বিচারকদের। বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের এ আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত বিচারকদের স্থায়ী আবাসন হচ্ছে রাজধানীর অন্যতম আবাসিক এলাকা বসুন্ধরায়।

রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট কুড়িল-পূর্বাচল সড়কের উত্তরে বিসিএস (প্রশাসন) সার্ভিসের আবাসন প্রকল্পসংলগ্ন ৪ হাজার ২৭২ কাঠা (কম/বেশি) জমিতে এ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ আবাসন প্রকল্প গড়ার লক্ষ্যে প্লট প্রস্তুতপূর্বক হস্তান্তরের জন্য জুডিশিয়াল অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেসার্স ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেডের রেজিস্ট্রি চুক্তিপত্র সম্পাদিত ও স্বাক্ষরিত হয়েছে গতকাল।

সন্ধ্যায় বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের বাসভবনে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ আহমেদ আকবর সোবহান, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী এবং সংগঠনের মহাসচিব এবং আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন-১) বিকাশ কুমার সাহা।

এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন দেশের নিম্ন আদালতের বিচারকদের সংগঠন।

বিচারকদের এ আবাসন প্রকল্পের প্লট নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ভূমির পরিমাণ হবে ৩ হাজার ২৮৮ কাঠা (কম/বেশি)। বেসরকারি হাউজিং নীতিমালা অনুযায়ী রাস্তা, ড্রেন, স্কুল, শপিং সেন্টার, খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ নাগরিক সুবিধার জন্য নির্ধারিত ভূমির পরিমাণ হবে ৯৮৪ কাঠা (কম/বেশি)। এতে ৫ কাঠা আয়তনের ৩৩৩টি (কম/বেশি) এবং ৩ কাঠা আয়তনের ৫৪১টি (কম/বেশি) প্লট থাকবে। সব মিলিয়ে প্লটের সংখ্যা হচ্ছে ৮৭৪টি। এ প্রকল্পে মোট ১ হাজার ১৪০ জন বিচারকের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে।

সর্বশেষ খবর