শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ হত্যা আড়াইহাজারে

নরসিংদীতে কিশোরী রাজশাহীতে ছাত্রী ধর্ষণ

প্রতিদিন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের পর হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি গর্তে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ বলছে, কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে যায় তারা।

গতকাল দুপুরে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার ছাত্রী। আড়াইহাজার থানার গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আজহার উদ্দিন পরিবারের বরাত দিয়ে  জানান, মেয়েটি একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। গতকাল ভোরে কে বা কারা তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে তাদের বাড়ির পাশে একটি গর্তে লাশটি ফেলে যায়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় দুই সন্তানের জননী বিধবা (৪০) এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এক রাতে পর্যায়ক্রমে ছয়জন ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গণধর্ষণের ঘটনায় আলী আকবর (৫০) নামে একজনকে গতকাল সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলী আকবর ওই এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে আলী আকবরকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। বাকি আসামিরা হলো- এলাকার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে মোস্তফা (৫৫), একই এলাকার আনারুল (৪০), লিটন (৩২), শাহীন (৩২) ও তরিকুল (৩৪)।

নরসিংদীতে কিশোরী ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ আটক একজন : নরসিংদীতে এক কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা ওই কিশোরী। শহরের নাগরিয়াকান্দি ইউএমসি জুটমিলের পাশের একটি বাড়িতে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার রাতে শহরের নতুন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রফিকুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আকানগর এলাকার সাইজ উদ্দিনের ছেলে ও নরসিংদীর ইউএমসি জুটমিলের সাবেক শ্রমিক।

রাজশাহীতে জাল কাগজে বিয়ে করে ছাত্রীকে ধর্ষণ : রাজশাহীতে জাল কাগজে বিয়ে করে দিনের পর দিন এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে সানি আহমেদ নামের এক যুবক। পাশাপাশি আপত্তিকর বিভিন্ন ছবি তুলে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি প্রদর্শনও করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ভিকটিম নগর পুলিশের দ্বারস্থ হলে প্রতারক যুবকের কাছ থেকে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা অন্তরঙ্গ ছবিগুলো উদ্ধারসহ তাকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। সানি রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকার বাসিন্দা ও আলমগীর হোসেনের ছেলে।

 

অভিযোগে জানা গেছে, রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সানি আহমেদ। কিছুদিন পরে মেয়েটিকে বিয়েও করে। এরপর তাকে নিয়ে তিনি কক্সবাজারসহ রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। একপর্যায়ে মেয়েটি জানতে পারেন ছেলেটির আগের স্ত্রী আছে।    এরপর ওই ছাত্রী নিজের বিয়ের কাগজপত্রের খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন- সেখানেও প্রতারণা করা হয়েছে। তার বিয়ের কাগজটি ভুয়া। ভুয়া কাজী সাজিয়ে জাল কাগজে বিয়ে করে ওই যুবক। তখন তিনি সানির কাছ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় সানি শারীরিক সম্পর্কের ছবি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করতে থাকেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, মেয়েটির অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে নগর পুলিশের নবগঠিত সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর সাইবার ক্রাইম ইউনিট তদন্তে নেমে উদঘাটন করে মেয়েটির সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর অপরাধের চিত্র। পরে সেই যুবককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর