শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

মৃত্যু ১১ লাখ, সংক্রমণ বাড়ছে ইউরোপে

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া কারোনাভাইরাসে মৃত্যুর মোট সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৯৮ হাজার। সারা দিনে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটছে। এদিকে বিশ্বের অনেক স্থানে সংক্রমণের গতি কমতে থাকলেও ইউরোপে প্রতিদিনই সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে।

গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯৯। প্রতিদিনের হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার বিশ্বে নতুন করে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৭ জন এবং মৃত্যু ছিল ৬ হাজার            ৮১ জন। এর মধ্যে ইউরোপে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭৪ জন এবং মৃত্যু ছিল ১ হাজার ৩৩১ জন। এর আগের দিন সংক্রমিত ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৯ এবং মৃত্যু ছিল ১ হাজার ১১৭ জন। এ ছাড়া বুধবার ভারতে সংক্রমিত ছিল ৬৭ হাজার ৯৮৮ জন এবং মৃত্যু ছিল ৬৯৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমিত ছিল ৫৯ হাজার ৬৯৩ জন এবং মৃত্যু ছিল ৯৭০ জন। ব্রাজিলে সংক্রমিত ছিল ২৬ হাজার ৬৭৫ জন এবং মৃত্যু ছিল ৭১৭ জন। রাশিয়ায় সংক্রমিত ছিল ১৪ হাজার ২৩১ জন এবং মৃত্যু ছিল ২৩৯ জন। আগেরদিন রাশিয়ায় সংক্রমিত ছিল ১৩ হাজার ৮৬৪ জন এবং মৃত্যু ছিল ২৪৪ জন।

 

ফ্রান্সের ৯ শহরে কারফিউ : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাজধানী প্যারিস এবং মার্সেলিসহ আরও সাতটি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। গত বুধবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এ ঘোষণা দেন। খবরে বলা হয়, ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য তিনি এসব গুরুত্বপূর্ণ শহরে কারফিউ জারির ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ম্যাক্রোঁ বলেন, রাজধানী প্যারিসে এবং মার্সেলিসহ নয়টি শহরের লোকজনকে রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত শক্তভাবে কারফিউ মেনে চলতে হবে। আগামী শনিবার থেকে কারফিউ বলবৎ হবে এবং কমপক্ষে চার সপ্তাহ তা বহাল থাকবে। এই সময়ে কারফিউ জারির অর্থ হচ্ছে লোকজন কোনো রেস্টুরেন্ট ও প্রাইভেট হোমে যেতে পারবেন না। রাষ্ট্রীয়  টেলিভিশনে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমাদেরকে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করতে হবে এবং করোনাভাইরাসের বিস্তার দমন করতেই হবে। যেসব ব্যক্তি এই কারফিউ অমান্য করবেন তাদেরকে ১৩৫ ইউরো জরিমানা করা হবে।’ ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স। এ অবস্থায় কারোরই করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করা উচিত হবে না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর