শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

শীতের পাখি প্রশান্ত সোনা জিরিয়া

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

শীতের পাখি প্রশান্ত সোনা জিরিয়া

প্রশান্ত সোনা জিরিয়া। এরা সাধারণত শীতের পাখি। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে এরা আমাদের দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। আবার শীত শেষে চলে যায় নিজভূমে। এদের ইংরেজি নাম Pacific golden plover.  আর বৈজ্ঞানিক নাম Pluvialis fulva. অঞ্চলভেদে এ পাখি সোনালি বাটান নামেও পরিচিত। শ্রীমঙ্গলের শৌখিন ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজম চলতি বছরের  মে মাসে কমলগঞ্জের ধলাই নদীর পাড় থেকে এ পাখির ছবি তুলেছেন। পাখিবিশারদরা বলেন, প্রশান্ত সোনা জিরিয়া পাখি দেখতে খুব সুন্দর। এদের গায়ের রং সোনালি। তাই তাদের নাম হয়েছে সোনা জিরিয়া। প্রজনন মৌসুমে এরা শরীরের রং বদলায়। পিঠের সোনালি রং আরও উজ্বল সোনালি হয়ে যায়।

মাথা থেকে গলা পর্যন্ত সাদা রঙের বর্ডার। গলার নিচ ও বুক কালো রং ধারণ করে। তখন তাদের দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। আবার শীতের সময় তাদের শরীরের রং ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এরা সাইবেরিয়া থেকে আমাদের দেশে আসে। থাকে মে পর্যন্ত। যেখানে পানি, বালু, কাদা আছে সেখানেই তাদের দেখা যায়। বিশেষ করে সোনা জিরিয়া ধান খেত বা ঘাসের মাঠেও দেখা যায়। এদের প্রজননের সময় আগস্ট থেকে সেস্টেম্বর। তখন তারা উত্তরাঞ্চলীয় ইউরোসিবেরিয়া থেকে পশ্চিম আলাস্কা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় বিচরণ করে। ডিম দেয় ৪ থেকে ৫টি। এরা সাধারণত বড় বড় দলে চলাফেরা করে। তাদের দলে ২০-৩০টি থেকে শুরু করে ১০০-২০০ পর্যন্ত হতে পারে। এ পাখি ২৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রশান্ত সোনা জিরিয়া প্রজনন কেন্দ্রে ফিরে যাওয়ার সময় তিন-চার দিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত অবিরাম যাত্রা করে থাকে।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইনাম আল হক বলেন, ‘প্রশান্ত সোনা জিরিয়া পাখি বিশ্বের অনেক দেশে দেখা যায়। এরা সাইবেরিয়ায় তিন মাস থাকে। শীতের সময় আমাদের দেশে চলে আসে। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায়ও চলে যায়। এরা আমাদের দেশে শীতের পাখি।’

সর্বশেষ খবর