বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

সম্রাট-আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

সম্রাটের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ

আদালত প্রতিবেদক

সম্রাট-আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মুক্তি দাবিতে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের পৃথক দুই মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। পাশাপাশি আদালত অভিযোগপত্র শুনানির জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ রমনা থানার অস্ত্র ও মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। এর আগে মাদক মামলায় গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযোগপত্রে বলা হয়, যুবলীগ নেতা সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে তার সহযোগী যুবলীগ নেতা আরমানের সহযোগিতায় তিনি মাদকদ্রব্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন বলে জানিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এছাড়া যুবলীগের সভাপতি হিসেবে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনোসহ জুয়ার আসর বসাতেন। এভাবে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হন সম্রাট। প্রতি মাসে ক্যাসিনো খেলার জন্য সিঙ্গাপুরেও যেতেন তিনি। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন। তার সহযোগী ছিলেন তৎকালীন কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদ ও যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া মদ ও ইয়াবার রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ পাওয়া গেছে, যার দাম ৯৫ হাজার টাকা। আর জব্দ করা ইয়াবার দাম ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

এছাড়া গত বছরের ১১ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাব।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর র‌্যাব সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদক ও অস্ত্র জব্দ করে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে রমনা থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করে।

সর্বশেষ খবর