বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

দইয়ের বাটি তৈরি করে সচ্ছল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

দইয়ের বাটি তৈরি করে সচ্ছল

দইয়ের বাটি তৈরি করে সংসারের হাল ধরেছে মজিদা ও মহিদুল দম্পতি। গাইবান্ধা সদরের রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের আরিফ খাঁ গ্রামে দইয়ের জন্য মাটির বাটি তৈরি করে সচ্ছল হয়েছেন তারা। ২০১২ সালের শেষের দিকে মহিদুল গাজীপুরে একটি মিষ্টির কারখানায় কাজ নেন। চাকরি করা অবস্থায় সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তিন মাসের জন্য ভারতে মিষ্টির বাটি বানানোর প্রশিক্ষণে যান। দেশে ফিরে ২০১৭ সালে গাজীপুরে দইয়ের বাটি তৈরির কারখানায় চাকরি নেন। ২০১৭ সালের শেষের দিকে মহিদুল নিজ গ্রামে চলে আসেন। ১২ শতক জায়গার ওপর স্বামী-স্ত্রী মিলে দইয়ের বাটি তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। কারখানায় বাটি তৈরির বিভিন্ন মেশিন সংস্থাপন করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের বাটি তৈরি করেন। এই দইয়ের বাটি খুবই উন্নত। এগুলো পাঠানো হয় ঢাকা, কুমিল্লা, নাটোর, নীলফামারী, গাজীপুরসহ দেশের বিভন্ন অঞ্চলে। নামে দইয়ের বাটি বলা হলেও এই বাটিতে খিরসা, রসমালাইসহ নানা জাতের মিষ্টি বিক্রি করা হয়। দইয়ের বাটি তৈরির কারখানা থেকে মজিদা ও মহিদুল মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করেন। সংসারে মহিদুলের বাবা-মা ও তাদের দুই ছেলেকে নিয়ে ভালোই আছেন তারা। ১৫ জন বেকার মানুষকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে কারখানার কাজে লাগিয়েছে এই দম্পতি। মজিদা বলেন, আমি এখন সরকারি সহায়তা ও সিরামিক তৈজসপত্র তৈরির প্রশিক্ষণ পেতে আগ্রহী। এটি পেলে আমরা আরও মানুষের কর্মসংস্থান করে দিতে পারব। গাইবান্ধার বেসরকারি সংস্থা এসকেএস-এর ইমেজ প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু বলেন, মজিদা ইমেজ প্রকল্পের সদস্য হওয়ায় তাকে আয়মূলক কাজ করার জন্য আমরা ট্রেনিং ও উৎসাহ প্রদান করি। তার সৃষ্টিশীলতা ও কাজের প্রতি আগ্রহ আমাদের মুগ্ধ করেছে। সরকারি সহায়তা পেলে তিনি আরও উন্নতি করতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর