শিরোনাম
শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

অসুর বধের মহারণের অষ্টমী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অসুর বধের মহারণের অষ্টমী

দেবী শক্তির বন্দনা এবং অসুর বধে অশুভ খ-নের প্রত্যয়ে আজ দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী পালিত হবে। গতকাল নবপত্রিকা প্রবেশ, সপ্তমী পূজা এবং সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে মহাসপ্তমী পালিত হয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী বেলা ১১টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের মধ্য দিয়ে সপ্তামাদি কল্পারম্ভ শেষ হয়।

পঞ্জিকা মতে, গতকাল বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে অষ্টমী শুরু হয়ে আজ বেলা ১১টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এর মধ্যে বেলা ১১টা থেকে সন্ধি পূজার সময় শুরু হয়ে বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে শেষ হবে। পূজা শেষে অঞ্জলি দেবেন ভক্তরা। এ বছর করোনা মহামারীর কারণে রাজধানীর কোনো পূজামন্ডপে হচ্ছে না কুমারী পূজা।

মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ বছর করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পূজামন্ডপে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ডপে অঞ্জলি দেওয়ার সময় যেন ভিড় না হয় এ জন্য ভার্চুয়ালি অঞ্জলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে অঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচারে সম্মত হয়েছে। আরও চারটি টেলিভিশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ভার্চুয়ালি অঞ্জলির ব্যবস্থা হলে ভক্তরা নিরাপদে থেকে পূজায় শামিল হতে পারবে।’

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত বলেন, পূজার বিভিন্ন আচারের মধ্য দিয়ে  সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কৃষি, খনিজ, বনজ, জলজ, প্রাণিজ ও ভূমিসম্পদ রক্ষার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন। সপ্তমী লগ্নে নবপত্রিকা প্রবেশ একটি ‘প্রতীকী’ পূজা। ‘নবপত্রিকা’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ নয়টি গাছের পাতা। এ পূজায় কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান এ নয়টি উদ্ভিদকে পাতাসহ একটি কলাগাছের সঙ্গে একত্র করা হয়। পরে একজোড়া বেলসহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড়ে সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তার কপালে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার দেবীপ্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পূজা করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম ‘কলাবউ’। নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। দুর্গাপ্রতিমার সামনে একটি দর্পণ বা আয়না রেখে সেই দর্পণে প্রতিফলিত প্রতিমার প্রতিবিম্বে বিভিন্ন উপচারে দেবীকে স্নান করানো হয়। এ বছর পূজা শেষে ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। থাকছে না কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। সন্ধ্যা আরতির পরেই বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্ডপ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর