শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
ঐতিহ্য

সংরক্ষণ করা হবে পুঠিয়ার চারআনি রাজপরগনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সংরক্ষণ করা হবে পুঠিয়ার চারআনি রাজপরগনা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় চারআনি রাজপরগনার মূল ফটক ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজবাড়ির মূল ফটকের পাশাপাশি চারআনি রাজপরগনার মূল ফটকসহ ভবনের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। রাজবাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা ভেঙে পড়া অংশ সেখান থেকে অপসারণও করেছেন। এবার এটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। গতকাল প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া পুঠিয়া রাজবাড়ির চারআনি রাজপরগনা পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া বলেন, ‘আরও আগে এটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তবে এখনই আমরা সেই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। সব প্রক্রিয়া শেষ করে এটিও সংরক্ষণ করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য শিগগিরই জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হবে।’ বৎসাচার্যের ছেলে পিতাম্বর ১৫৫০ সালে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন। আর পিতাম্বরের অনুজ নীলাম্বর পুঠিয়া রাজবংশের প্রথম রাজা হন। চতুর্থ ধনপতি চাঁদ সওদাগর থেকে শুরু করে পরেশ নারায়ণ ও নরেশ নারায়ণ পুঠিয়া রাজবংশের রাজা হিসেবে প্রায় ৪০০ বছর শাসন করেন। এরপর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে রাজপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর রাজপরগনার উত্তরাধিকারীরা সপরিবারে ভারতে চলে যান। বর্তমানে পুঠিয়া পরগনায় রাজা নেই, রাজ্যও নেই। সমস্ত রাজপরগনাজুড়ে আছে তাদের অনেক স্মৃতিবিজড়িত পুরাকীর্তি। বর্তমানে কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চারআনি রাজবাড়ি প্রায় বিলুপ্তের পথে। স্থানীয়দের দাবি, কর্তৃপক্ষ পুরাকীর্তি সংবলিত রাজবাড়িটি সংরক্ষণ না করলে রাজপরগনার ইতিহাস-ঐতিহ্যের শেষ অংশটুকু বিলীন হয়ে যাবে। বারো ভূঁইয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে এই রাজপরগনায়। পরগনার কয়েকটি স্থান প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর সংরক্ষণ করলেও নানা কারণে চারআনি রাজবাড়িটি এতদিন ধরে অবহেলিত। কর্তৃপক্ষের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চারআনি রাজবাড়ি ধ্বংসের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল হাই মো. আনাস বলেন, ‘চারআনি রাজপরগনাটি সংরক্ষণের জন্য আমরা প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কাছে বলেছিলাম। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এখন এই এলাকাটি অধিগ্রহণ করা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর