বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় মায়ের কাছ থেকে ডেকে শিশুকে ধর্ষণ

বাগেরহাটে গার্মেন্টকর্মী ধর্ষণে শ্রমিক লীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা মহানগরীর মোহাম্মদ নগর এলাকায় তিন বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ মো. ইউনুস মোল্লা (৪০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। আসামি ইউনুস মোল্লা লবণচরা মোহাম্মদ নগর শোভা গলিতে ভাড়াবাসায় থাকে। জানা যায়, ২৫ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে শিশুটি মোহাম্মদ নগরে একটি চায়ের দোকানে মায়ের কাছে বসে খেলা করছিল। এ সময় ইউনুস মোল্লা শিশুটিকে নিয়ে ঘুরে আসার কথা বলে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে তাকে মা-বাবার কাছে দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে। তার মাকে বলে কাকু আমাকে ব্যথা দিয়েছে। এ ঘটনা এলাকাবাসীদের জানালে তারা ইউনুস মোল্লাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনুস মোল্লাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেন।

বাগেরহাটে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রেফতার পাঁচ : বাগেরহাটে বিজয়া দশমীর দিন সোমবার রাতে পূজা  দেখে বাড়ি ফেরার পথে ২২ বছর বয়সী এক গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণের ঘটনায় সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য  শেখ মিজানুর রহমানসহ ৫ জনকে গতকাল গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শেখ মিজানুর রহমান (৩৫) বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং বাকপুরা গ্রামের আব্দুল মজিদ  শেখের ছেলে। গ্রেফতারকৃত অন্য ৪ জন হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার চিন্তারখোড় গ্রামের অমল মৃধার ছেলে বিকাশ মৃধা (১৯), নারায়ণ চন্দ্র সরকারের ছেলে সুকান্ত সরকার (৩২), অসীম বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস (২৮) ও মো. আনোয়ার ফকিরের ছেলে মো.   সোহেল ফকির (২৩)। গ্রেফতারকৃতদের সন্ধ্যায় আদালতে পাঠালে বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবীর পারভেজ তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন।

সোমবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই গার্মেন্টেস কর্মী নিজে বাদী হয়ে গতকাল বিকালে বাগেরহাট মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বারুইপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শেখ মিজানুর রহমানসহ ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।  মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত আউইপাড়া ইউপি সদস্য ও ওই ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমানসহ ৫ জনকে গতকাল বিকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. শফিকুর রহমান জানান, সোমবার   বন্ধুদের সঙ্গে পূজা দেখে রাতে ভ্যানযোগে বাড়ি রওনা দেয় ওই গার্মেন্টস কর্মী। রাত ১০টার দিকে বাকপুড়া মোড়ে  পৌঁছালে ইউপি সদস্য ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তরুণীকে ভ্যান থেকে নামিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। রাত পৌনে ১২ টার দিকে ওই তরুণীকে চিন্তিরখোড় এলাকায় রেখে চলে যায় মিজান। পরে তরুণীকে রাত ১২টার দিকে আসামি বিকাশ মৃধা, সুকান্ত সরকার, বিধান বিশ্বাস, মো. সোহেল ফকিরসহ কয়েকজন  মিলে শ্লীলতহানি করে। এদিকে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বারুইপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, মামলা দায়েরের পর আমরা তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরও চারজনকে  গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবীর পারভেজের  আদালতে তোলা হলে তিনি তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর