শিরোনাম
বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
আরও দুজন আটক

রংপুরে ছাত্রী ধর্ষণে গ্রেফতার দেখানো হয়নি এএসআইকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সদ্য চাকরি থেকে বরখাস্ত ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানকে এখনো গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তবে, রায়হানকে হেফাজতে রেখে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রায়হানকে গ্রেফতার না দেখানোর কারণে মামলার তদন্ত নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। এদিকে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও দুজনকে  গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল ভোরে লালমনিরহাট  থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন, লালমনিরহাট সদরের পূর্ব মাজাপাড়ার করি মাহমুদের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮) ও পূর্ব থানা পাড়ার মৃত কাচু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। পিবিআই জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এর আগে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ও সুরভি আক্তার শম্পাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ওই মামলায় গ্রেফতার মেঘলা ও শম্পাকে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 পিবিআই ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর ময়নাকুঠি কচুটারিতে নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে  তোলেন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম।

এদিকে, গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে ক্যাদারের পুলের ডা. শহিদুলাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হানুল। পরে রবিবার মেঘলা ওরফে আলেয়া ও সুরভি আক্তারের সহায়তায় আরও দুজন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে  রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় মেঘলা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে আরেক সহযোগী সুরভিকেও আটক করা হয়।  সূত্র জানায়, সর্বশেষ গ্রেফতার বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর মুখোমুখি করা হলে তিনি শনাক্ত করেছেন।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দু’জনের নাম ?উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায়  ধর্ষণ মামলা করেন। পরে  ওই রাতে  অসুস্থ ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করায় পুলিশ।

রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে রায়হান এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাই তাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার দেখানো হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর