কুষ্টিয়া ও মাগুরায় বিষাক্ত মদপানে তিন যুবক ও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মাগুরায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও ৮ জন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত মদপান করে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর গতকাল ভোর রাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- রিপন কুমার ঘোষ (৩২), নিতাই বিশ্বাস (৩৫) ও অনিক বিশ্বাস (২১)।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ইনচার্জ (ভর্তি) ছানোয়ার হোসেন জানান, মদের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মিরপুর উপজেলার কান্তদাহ গ্রামের মৃত দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে নিতাই বিশ্বাসকে প্রথমে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সদর উপজেলার বড় আইলচারার তপন বিশ্বাসের ছেলে অনিক বিশ্বাসকে ভোররাত ৪টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোররাত পৌনে ৫টার দিকে খোকসা উপজেলার কালিবাড়ী বাজারের অবেশ ঘোষের ছেলে রিপন কুমার ঘোষকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন যুবকই মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, এদের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে আসলে এদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।মাগুরা : মাগুরা সদর উপজেলার চন্দনপ্রতাপ গ্রামে বিষাক্ত মদপানে বিপ্লব কুমার দাস (১৬) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মদের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েছেন আরও ৮ জন। বিপ্লব চন্দনপ্রতাপ গ্রামের বিকাশ কুমার দাসের ছেলে। সে সদর উপজেলার পূর্ব বাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
স্থানীয় আঠারোখাদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সঞ্জীবন বিশ্বাস জানান, সোমবার দুর্গাপূজার দশমীর রাতে তারা মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার সকালে বিপ্লব কুমার দাস মারা যায়। অসুস্থদের মধ্যে রুহোল সরদার (১৯) ও সজীব বিশ্বাসকে (২৯) ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর অসুস্থ পার্থ বিশ্বাস (২৪), শুভ বিশ্বাস (২২), নন্দ বিশ্বাস (১৭), প্রিতম বিশ্বাস (১৪), দীপঙ্কর বিশ্বাস (২৩), অন্তু বিশ্বাস (১৪) এ ছয়জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষাক্ত মদপানেই এ মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা জানান, অনেক ক্ষেত্রে ভেজাল ও অতিরিক্ত মদপানের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলিশ সুপার খান মুহম্মদ রেজোয়ান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।