রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
মসজিদে বিস্ফোরণ

নারায়ণগঞ্জের সেই মসজিদ কমিটির সভাপতি গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় এবার মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শুক্রবার রাতে তল্লার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি নারায়ণগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আবদুল গফুরকে গ্রেফতার দেখানো হবে। এ বিষয়ে হতাহতের ঘটনায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) চূড়ান্তের পথে। ৩৬ জনকে অভিযোগপত্রভুক্ত করা হচ্ছে। সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৩৬ জনের বিষয়ে কাজ চলছে। এ ৩৬ জনের মধ্যে তিতাসের ৮ জন, ডিপিডিসির দুজন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ২৬ সদস্য রয়েছে। তবে এটা কম-বেশি হতে পারে।

এরই মধ্যে গ্রেফতার তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, কর্মী ইসমাইল প্রধান, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া, সিনিয়র উন্নয়নকারী আইউব আলী ও সিনিয়র সুপারভাইজার মনিবুর রহমান চৌধুরী এবং অভিযোগপত্রে ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের মিটার রিডার আরিফুর রহমান ও বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন রয়েছেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির নারায়ণগঞ্জ বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির গাফিলতি আছে। প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।  তিতাস ও বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি আছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া তিতাসের কে ঘুষ চেয়েছিলেন সেই ব্যক্তিকেও চিহ্নিত করার কাজ চলছে। মসজিদ কমিটির গাফিলতি নিয়ে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে তাদের মধ্যে যে কাউকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তিনি জানান, মসজিদের মূলত বিদ্যুতের স্পার্ক থেকেই গ্যাসের বিস্ফোরণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিদ্যুৎ কর্মীদের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। মসজিদে যদি মিটার রিডার আরিফুর প্রতি মাসে যেতেন তাহলে এমন ঘটনা হতো না। কারণ প্রতি মাসে মিটার চেক করলে অবৈধ সংযোগ বা সমস্যা ধরা পড়ত। প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুজন। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

সর্বশেষ খবর