সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সুন্দরবনে ছুটছেন পর্যটকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

সুন্দরবনে ছুটছেন পর্যটকরা

প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে সুন্দরবন। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পে। গতকাল প্রথম দিনে খুলনা ও মোংলা থেকে লঞ্চে-ট্রলারে পর্যটকরা সুন্দরবনের উদ্দেশে রওনা দেন। তবে সব ক্ষেত্রেই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগ ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে গত ১৯ মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে সুন্দরবনকেন্দ্রিক ৬৩টি ট্যুর কোম্পানির কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন। একই সঙ্গে সবুজ প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে না পেরে অতৃপ্ত মানুষও হাঁপিয়ে ওঠেন। শেষে ১ নভেম্বর থেকে বনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি হওয়ায় তাদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে খুলনার রূপসা এলাকা, ফরেস্টঘাট ও আঠারোবেকি নদীতে টুরিস্ট লঞ্চগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। পর্যটকরাও এই মুহূর্তে বনে যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, শুরুর দিনই মুন্সীগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনীসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রলারে করে পর্যটকরা বনে প্রবেশ করেছেন। এছাড়া চারটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ ৩ ও ৬ নভেম্বর পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধির কথা ভেবে লঞ্চ থেকে একসঙ্গে ২৫ জন করে পর্যটক সুন্দরবনে নামার কথা বলা হয়েছে। গ্রুপের বাকি ২৫ জন লঞ্চে ট্রলারে সুন্দরবনের নদী-খালে ভ্রমণ কিংবা দ্বিতীয় দফায় বনে নামতে পারবেন। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, ট্যুর অপারেটরদের লঞ্চ বনে প্রবেশের আগে পর্যটকদের শরীরের তাপমাত্রা, মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের শীতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে ভ্রমণলপ্রিয় মানুষ প্রকৃতির স্বাদ নিতে আগে-ভাগেই সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য বুকিং দিচ্ছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর