সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বারি-৫ পিঁয়াজ চাষে আশার আলো

মেহেরপুর প্রতিনিধি

বারি-৫ পিঁয়াজ চাষে আশার আলো

মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের পিঁয়াজ চাষ করে সফল হয়েছেন চাষিরা। এতে তারা আশার আলো দেখছেন। এই জাতের পিঁয়াজ আবাদ করে ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দামেরও আশা  চাষিদের। নতুন জাত হিসেবে চাষিদের মন কেড়েছে এই জাতের পিঁয়াজ। দেশের পিয়াঁজ ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল বারী পিঁয়াজ-৫ যা সারা বছর চাষিরা আবাদ করতে পারবেন। তারই ধারাবাহিকতায় বছরব্যাপী পিঁয়াজ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ইফাদের অর্থায়নে, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, পিকেএসএফ ও কৃষিবিভাগের সহযোগিতায়  মেহেরপুর জেলায় চাষ হয়েছে বারী পিঁয়াজ-৫। পরীক্ষামূলক চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলায় বেশ কিছু চাষি এই জাতের পিঁয়াজ চাষ করে সফল হয়েছেন। এ সময় এই জাতের পিঁয়াজের আবাদ দেখে আগামীতে পিঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেক চাষি।

সদর উপজেলার কালীগাংনী গ্রামের পিঁয়াজ চাষি ফারুক জানান, এ সময় পিঁয়াজের ফলন হবে ধারণা ছিল না। এখন আবাদ করে দেখছি পিঁয়াজের যা গুটি এসেছে তাতে মনে হচ্ছে বিঘা প্রতি ৮০ থেকে ১০০ মণ ফলন হবে। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ জানান, জেলায় বিভিন্ন চাষিদের মাধ্যমে ২৫ হেক্টর জমিতে বারী পিঁয়াজ-৫ আবাদ করা হয়েছে। ভালো ফলন হবে এবং চাষিরা লাভবান হবেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মনজুর হোসেন জানান, যেহেতু দেশে পিঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে সে কারণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল বারী পিঁয়াজ-৫। এটি একটি পরীক্ষিত জাত যা সারা বছর আবাদ করা যাবে। এই জাতের পিঁয়াজ চাষ যদি সারা দেশে সম্প্রসারিত করা যায় তবে দেশে আর পিঁয়াজ ঘাটতি থাকবে না। দেশের পিঁয়াজ ঘাটতি কমাতে জেলায় এই জাতের পিঁয়াজ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানালেন মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার।

সর্বশেষ খবর