বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
পীর হাবিবের বাসায় সশস্ত্র হামলা

গুজব ছড়ানো সাব্বির রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক

গুজব ছড়ানো সাব্বির রিমান্ডে

গুজব ছড়িয়ে উসকানি দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের উত্তরার অ্যাপার্টমেন্টে সশস্ত্র হামলা, তা-ব ও ব্যাপক ভাঙচুর এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটানো মামলার অন্যতম আসামি সাব্বির আহম্মেদকে দুই দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের পুলিশ পরিদর্শক আহসান হাবিব খান আসামিকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই দিন রিামান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ আসামি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রচার করে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা পীর হাবিবুর রহমানের বাসায় হামলা করে প্রধান ফটকসহ দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। এ ছাড়া তার ফ্য¬াটে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র নষ্ট করে। এ ঘটনায় মামলা হলে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামির কাছে দুটি মোবাইল সিম পাওয়া যায়। যা আসামি সাব্বিরের নিজের নামে ও পরিবারের কারও নামে রেজিস্ট্রেশন নেই। অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ওই সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে, যা রহস্যজনক। আসামি অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে এ সিম ব্যবহার করেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। মামলাসূত্রে জানা গেছে, আসামি সাব্বির আহম্মেদ হামলার দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে নিজেকে অবৈধ অনলাইন ‘নান্দনিক বার্তা’র রিপোর্টার পরিচয়ে মোবাইলে লাইভ প্রচার করেন পীর হাবিবুর রহমানের গৃহকর্মীকে হত্যা করে গুম করা হয়েছে বলে জনগণ বলাবলি করছে। তার এ মিথ্যা গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হামলা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। এর ফলে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনগণ রাজধানীর উত্তরার বাসায় হামলা করে ভাঙচুর চালায়। আসামি সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া সমাজের মানুষের কাছে শত্রুতা, ঘৃণা সৃষ্টি এবং গুজব রটানোর উদ্দেশ্যে উক্ত সংবাদ বা বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করেছেন। বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটালে আসামি ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ও ৩১-এর (২) ধারায় অপরাধ করেছেন। মঙ্গলবার ভোররাতে আসামি সাব্বিরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এখন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এ ধরনের বর্বর হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, কারা ইন্ধনদাতা, কারা তাকে গুজব ছড়ানোর জন্য পাঠিয়েছিল সেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর