রাজধানীর গুলশান নর্দা মোড়লবাড়ি এলাকা থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় এক শিশু গৃহকর্মীকে (৮) উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন করার পর ওই শিশু গৃহকর্মীকে উদ্ধারসহ গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত সোমবার রাতে ট্রিপল নাইনে ফোন করে কেউ একজন শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের খবর দেন। রাতেই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই বাসার গৃহকর্ত্রী সুরমা আক্তার ও গৃহকর্তা মঈনুল হোসাইনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে। গ্রেফতার দুজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। শিশু গৃহকর্মীকে পুলিশি ব্যবস্থায় প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তেজগাঁওয়ের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে। শিশুটির মুখমন্ডলে জখমের চিহ্ন আছে। আঘাতে চোখ ফুলে গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই বেলাল হোসেন জানান, শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, শিশুটির গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তার বাবা মারা গেছেন। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক প্রতিবেশী তরুণ জানান, প্রায় রাতেই অফিস শেষে বাসায় ফিরলে কান্নার শব্দ পেতাম। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই গৃহকর্মীকে মারধর করা হয়। সোমবার রাতে খুব বেশি কান্না ও আর্তনাতের শব্দ পাই। পরে স্থানীয়রা ভিড় করে। পাশের আরেক ফ্ল্যাটের এক নারী ৯৯৯ এ ফোন করে জানালে পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
