বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চাকিরপশার শাপলা বিল

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

চাকিরপশার শাপলা বিল

প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে ঘুরে ঘুরে আনন্দ উপভোগের নতুন ঠিকানা কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চাকিরপশার শাপলা বিল ও রৌমারীর নীলেরকঠি গ্রামের পাটাধোয়া বিল। যেখানে দিনের শুরু হলেই দেখা যায় শাপলা আর শাপলা। চাকিরপশার এ বিলে প্রায় ৫০০ একর জমির ওপর এই শাপলা ফুল আষাঢ় মাস থেকে শুরু করে কার্তিকের শেষ পর্যন্ত ফুটতে থাকে। কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক শক্তি হতে পারে এ শাপলা ফুল। শুধু যে বিশুদ্ধতা আর  সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এ ফুল তা নয়, খাদ্য এবং ওষুধি গুণ হিসেবেও এটি সমাদৃত। এক সময় আমাদের দেশে পুকুরে কিংবা বিলে-ঝিলে শোভাবর্ধন করে ফুটে থাকত নানা রকমের শাপলা ফুল। কিন্তু প্রকৃতি বৈরিতা আর দূষণে এ শাপলা ফুল কমে যাচ্ছে। কদরও কিছুটা কমেছে বলে অনেকেই মনে করেন। শাপলার এ চোখ জুড়ানো দৃশ্য দেখে যে কারোরই মন ভালো হয়ে যায়। অনেকেই লাল শাপলা ফুলকে বেশি পছন্দের জায়গায় রেখেছেন। কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বাইরে রৌমারীতেও এ ফুলের সমারোহ দেখা যায়। তবে রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ একর জমিতে চাকিরপশা বিলটি এখন শাপলা বিল হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে। এই বিলে সাদা ও গোলাপি নানা রকমের ফুল রয়েছে।

অপরদিকে, রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক নীলের কুঠি গ্রামের পাটাধোয়া বিলে প্রায় ১৫ একর জমিতে লাল শাপলা ফুলের দেখা মেলে। দুচোখ যতো দূরে যায়, শুধুই এ ফুল আর ফুল। এ কারণে বিল দুটি এখন শাপলা ফুল প্রেমিদের কাছে নানাভাবে সমাদৃত। এ দুটি বিল এখন মানুষজনের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এসব বিলে সৌন্দর্য ও শাপলা ফুল দেখতে নৌকায় চরে ঘুরে ঘুরে সৌন্দর্য উপভোগ করেন ভ্রমণ পিপাসুরা। আর বর্ষাকালে কোনো কাজ না থাকায় ফুল তুলে বাড়তি আয় করেন স্থানীয়দের অনেকেই। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা পার্বণে এ ফুলের কদর বেশি লক্ষ্য করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর