বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন, এএসআই আশেক এলাহী কারাগারে

পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে যুবক রায়হান আহমদকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার পরিবর্তে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিদর্শক আওলাদ হোসেনকে। এ ছাড়া পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এএসআই আশেক এলাহীও আদালতে জবানবন্দি দেননি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

১৩ অক্টোবর রায়হান হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় পিবিআইর পরিদর্শক মাহিদুল ইসলামকে। কিন্তু সোমবার তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে মামলার তদন্তকাজ থেকে বাদ দিয়ে নতুন কর্মকর্তা হিসেবে পরিদর্শক আওলাদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মো. খালেদুজ্জামান।

এদিকে রায়হান আহমদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা পুলিশের সোর্স সাইদুর শেখের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সৌদি রিয়াল দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মঙ্গলবার সাইদুরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। আফজাল হোসেন নামে জকিগঞ্জের এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। সাইদুরকে ২৫ অক্টোবর ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করেছিল পিবিআই। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই ১০ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদকে নগরের কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ।

গ্রেফতার আগের দুই পুলিশ সদস্যের মতো রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেক এলাহী। রায়হান হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পিবিআই। রিমান্ড চলাকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠান।

প্রসঙ্গত, ১০ অক্টোবর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নেওয়া হয় নগরের নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে। পরদিন ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন ফাঁড়ির এএসআই আশেক এলাহী। প্রথমে ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে রায়হান মারা গেছেন বলে দাবি করে পুলিশ। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ফাঁড়িতে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ তোলা হলে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিন সদস্যকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। রায়হানের স্ত্রীও হত্যা এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে থানায় মামলা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর